ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় ২৪৫৯ মণ্ডপে দুর্গাপূজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৯
ত্রিপুরায় ২৪৫৯ মণ্ডপে দুর্গাপূজা

আগরতলা (ত্রিপুরা): এ বছর ত্রিপুরা রাজ্যে ২ হাজার ৪৫৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে রাজ্যের শহর এলাকায় ৮৬৯টি ও গ্রামীণ এলাকায় ১ হাজার ৫৯০টি। গত বছর হয়েছিল ২ হাজার ৫২৭টি। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ত্রিপুরা পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজি) এ কে শুক্লা এ কথা জানান।

তিনি বলেন, দুর্গোৎসবের দিনগুলোকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য অন্য বছরের মত এ বছরও ত্রিপুরা পুলিশ বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে।

উৎসবের দিনগুলো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য ত্রিপুরা পুলিশের তরফে যেমন সার্বজনীন উৎসবগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তায় আয়োজন করা হয়েছে। একইভাবে বাড়ির পূজাগুলোতেও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

উৎসবের দিনগুলোতে নিরাপত্তার জন্য ৯ হাজার ২৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ত্রিপুরাতে স্টেট রাইফেলস জওয়ান ৫ হাজার ১৫০ জন ও ত্রিপুরা পুলিশ ৪ হাজার ১০০ জনকে রাজ্যজুড়ে মোতায়েন করা হবে।

উৎসবের এই ক’দিনের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ২০৮টি অস্থায়ী পুলিশ বুথ স্থাপন করা হবে। শুধুমাত্র আগরতলা শহরে স্থাপন করা হবে ৫২টি। বিশেষভাবে নজরদারি চালানোর জন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ৮৯টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৯টি ওয়াচ টাওয়ার শুধুমাত্র আগরতলা শহরে নির্মাণ করা হয়েছে।

পুলিশের যেসব গাড়ি রয়েছে তার পাশাপাশি এই ক’দিনের জন্য বাড়তি আরও ১৭০টি গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের তরফে ১১৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেসসব সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেগুলোও কাজ করবে। পূজা কমিটির কর্মকর্তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে পূজার প্যান্ডেলসহ আশপাশের এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে তারাও যেন সিসিটিভি ক্যামেরা বসান।

১০০০ জন পুলিশকর্মীকে রিজার্ভে রাখা হয়েছে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে তৎক্ষণাৎ তাদের কাজে নামানো হবে। পুলিশ ও টিএসআর বাহিনীর পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নিরাপত্তার কাজে লাগানো হবে। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

সেইসঙ্গে পুলিশের মহানির্দেশক রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, উৎসবের দিনগুলোতে যেন কোনো ধরনের গুজব রটানো না হয়। এছাড়া কারও কাছে যদি কোনো খবর থাকে তৎক্ষণাৎ তারা যেন নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে বিষয়টি অবগত করান এবং বিষয়টি যাচাই করে সত্য প্রমাণিত হলে মানুষকে অবগত করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।