ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় প্রথমবার কাশ্মীরি আপেল কুলের সফল চাষ 

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
ত্রিপুরায় প্রথমবার কাশ্মীরি আপেল কুলের সফল চাষ  রঞ্জিৎ চাকমা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা(ত্রিপুরা): কাশ্মীরি আপেল কুল ত্রিপুরা রাজ্যে চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন ত্রিপুরার ঊকোটি জেলার পেচারথলের জনজাতি যুবক রঞ্জিৎ চাকমা।  

তিনি বাংলানিউজকে জানান, কাশ্মীরি আপেল কুলের ভিডিও সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে দেখে তার খুব পছন্দ হয়।

এরপরই তিনি সাড়ে সাত বিঘা জমিতে এই কুলের চাষ করেছেন। কলকাতা থেকে মোট ১হাজার ৩শ’টি চারা আনিয়ে লাগিয়ে ছিলেন। এরমধ্যে ১১হাজার ১শ’টি চারা জীবিত আছে ও ফল ধরেছে।  

কাশ্মীরি আপেল কুল নাম হলেও দেশের অন্যান্য রাজ্যে এর চাষ হচ্ছে। তবে ত্রিপুরা রাজ্যে তিনি প্রথম চাষ করেছেন। এখন বাগানের সব কটি গাছে লাল-সবুজ আপেল কুলে ছেয়ে আছে। ফলের ভরে গাছের ডাল গুলি নুইয়ে পড়ছে। এই কুল গুলি খেতে খুব মিষ্টি।  

ইতোমধ্যে বিক্রিও শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই চাষি। সাধারণ মানুষ বাগানে এসে খুচরা ২শ’ রুপি প্রতি কেজি দামে কিনে নিচ্ছেন। এখনো পাইকারি মূল্যে বিক্রি শুরু করেননি। তবে আগামী দিনে আরও বেশী পরিমাণে ফল পাকতে শুরু করলে পাইকারিভাবে বিক্রি করবেন বলেও জানান রঞ্জিৎ চাকমা।  

এই বাগান করতে সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ রুপি। বাগানটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন সরকারি কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়া। তবে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অন্তর্গত উদ্যান এবং ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের স্থানীয় অফিসের সঙ্গে তার পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন বাগানটি পরিদর্শন করবেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ দেখা করেনি বলেও জানান। সরকারি সহায়তা পেলে আরও ভালোভাবে বাগান পরিচর্যা করা সম্ভব হবে বলে তার অভিমত।  

এখন দেখার বিষয় সরকার নতুন ধরনের এই ফলের চাষ সম্প্রসারণে কোনো পদক্ষেপ নেয় কি-না? তবে রাজ্যে নতুন ধরনের ফল চাষ হয়েছে শুনে এখন প্রতিদিন সাধারণ মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন রঞ্জিতের বাগানে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
এসসিএন/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।