ছবি: আবু বকর সিদ্দিকী- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাইক্কা বিল (হাইল হাওর, শ্রীমঙ্গল) ঘুরে: বিস্তীর্ণ জলাভূমি। চারদিকে লতা-গুল্ম, কোথাও কচুরিপানা।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সাদা শাপলা, শালুক কিংবা বিলের পানিতে ভেসে থাকা অগণিত পদ্ম।
বলছি, মৎস্য সম্পদের অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলের কথা। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত হাইল হাওরের পূর্বদিকের প্রায় ১০০ হেক্টর ভূমি জুড়ে এ জলাভূমির অবস্থান।
বাইক্কা বিলে রয়েছে আইড়, কই, মেনি, ফলি, পাবদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এখানে বংশ বৃদ্ধির পরই এসব মাছ ছড়িয়ে পড়ে হাওরে।
শুধু কী মাছ? এই বিলে রয়েছে নানা প্রজাতির পাখিও। পানকৌড়ি, কানিবক, ধলাবক, শালিক, ফিঙেসহ নাম না জানা পাখি ছাড়াও শীতে আগমন ঘটে হাজারো পরিযায়ী পাখির। যাদের কিচির-মিচির শব্দে আলাদা একটা ব্যাঞ্জনার সৃষ্টি হয়।
২০০৩ সালের ১ জুলাই এই জলাভূমিকে মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ভূমি মন্ত্রণালয়।
বিলের পানিতে ফোটা সাদা শাপলা, পদ্মসহ নানা জীববৈচিত্র্য এবং শীতে আগত পরিযায়ী পাখিদের দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
যেখান থেকে এসব পাখি ওড়াউড়ি কিংবা খাবার সংগ্রহের ঢং অবলোকন করেন পর্যটকরা।
বর্ষায় বিলে নৌকায় করে বেড়ানোর সময় ‘উত্তাল’ হাওয়ায় নষ্টালজিয়া করে দেয় পর্যটকদের। বিলের পানিতে সকাল-সন্ধ্যা চলে রঙিন ফড়িংয়ের বিরতিহীন ওড়াউড়ির খেলা।

পানিতে ভেসে থাকা পানিফল কিংবা নানা পতঙ্গ-প্রজাপতির ভোঁ ভোঁ শব্দেও আকৃষ্ট হন ঘুরতে যাওয়া মানুষ।
গবেষণা অনুযায়ী, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করায় পাখির সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ বিলে ২০৩টি প্রকার পাখি রয়েছে। এরমধ্যে ১৫৩টি অতিথি বা পরিযায়ী এবং ৫০টি স্থায়ী বসবাসকারী পাখি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৬
এমএ/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।