ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটের-কথা

জনগণের নেতা জিয়া, পেইড কর্মীতে চলেন মোস্তফা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
জনগণের নেতা জিয়া, পেইড কর্মীতে চলেন মোস্তফা গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও জিয়াউর রহমান।

নাচোল থেকে: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনটি নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট নিয়ে। এই আসনটিতে বর্তমানে আওয়ামী লীগের চারটি বলয়ে ঘ‍ুরপাক খাচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। তবে ভোটের হিসেবে সাধারণ মানুষের ভাবনায় রয়েছেন তাদের কাছের নেতাই।

দলটির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ বলছেন, এই আসনে এবার চরজন নেতা মনোনয়নের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান এমপি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, যিনি গত দুইবারের সংসদ সদস্য।

আরেকজন নাচোল উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের। অন্যজন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম। অপরজন হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জিয়াউর রহমান।
 
স্থানীয়রা বলছেন, তারা প্রত্যেকে নিজেদের আগামী নির্বাচনে দলের টিকিট পাবেন বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের সিলেকশনে রয়েছেন জিয়াউর রহমান। তিনি রোহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়র ছিলেন।
 
রাজনীতির কেরিয়ারে বেশ কয়েকবার আওয়ামী লীগের টিকিটে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু কানসাট আন্দোলনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ছিটকে পড়েন এই নেতা। সে সময় সামনে আসেন গোমস্তাপুরেরই আরেক নেতা গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করেন।
 
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, নির্বাচিত হওয়ার পর গোলাম মোস্তফা অনেকটাই ঢাকা কেন্দ্রিক সময় কাটিয়েছেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে তার তেমন কোনো যোগাযোগ নেই। তার অনুসারীরা কেবল থানার সামনেই বসে থেকে বিভিন্ন মিটিং, সালিশ-দরবার করেন। এছাড়া তাদের তেমন আর কোনো কাজও নেই। আবার তার ছোট ভাইকে প্রভাব খাটিয়ে রহনপুর পৌরসভার মেয়র বানিয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। সরকারী সকল কাজও একচেটিয়াভাবে তারাই নিয়ে নিচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নও তেমন করেননি। এভাবেই জনগণ থেকে দূরে সরে গেছেন গোলাম মোস্তফা। বর্তমানে তার রাজনীতি অনেকটা ‘পেইড’ কর্মীর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
 
নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রাক্কালে কেবল নাচোল-রহনপুর-ভোলাহাট সড়কে কিছু কাজ হয়েছে। তবে এ নিয়ে সাধারণ ভোটাররা সন্তুষ্ট নন। বরং সুখে-দুখে যিনি তাদের পাশে সব সময় আছেন, তাকেই তারা চান।
 
এক্ষেত্রে আনোয়ারুল ইসলামকেও তারা নৌকার প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করছেন না। আবার এক সময় আব্দুল কাদেরকে জিয়ার অনুসারী থাকা সত্ত্বেও তারই বিপক্ষে যাওয়টা সহজভাবে নেননি ভোটাররা।
 
এসব হিসেব নিকেষে তাই জনগণের মনোনয়নে এগিয়ে আছেন জিয়াউর রহমান। কেননা, তিনি সাধারণ মানুষের সুখে-দুখে সব সময় পাশেই রয়েছেন।
 
কালহর গ্রামের বাসিন্দা আজমল আলী বাংলানিউজকে বলেন, জিয়াই আমাদের সুখে-দুখে আছেন। এমপি তো তেমন খোঁজ খবরও নেন না।
 
গোমস্তাপুর উপজেলার পুরাতন প্রসাদপুর এলাকার বাসিন্দা তোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান জনগণের নেতা। আর গোলাম মোস্তফার প্রভাব বেশি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
ইইউডি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।