ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটের-কথা

নওগাঁ সদরে দোদুল্যমান আওয়ামী লীগ-বিএনপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৭
নওগাঁ সদরে দোদুল্যমান আওয়ামী লীগ-বিএনপি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোগো

নওগাঁ থেকে:  নওগাঁ সদরে আবারও ফিরছে বিএনপি-এমন আলোচনা শোনা যাচ্ছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। তারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি আবদুল মালেক জনগণ থেকে একটু দূরে আছেন। যে সুযোগটি আরো কাজে লাগবে বিএনপির। যদিও আব্দুল মালেকের দাবি, তার কাছে সরাসরি জনগণ পৌঁছুতে পারে কাউকে না ধরেই।  

নওগাঁ সদরে দেশের প্রধান এই দুই দলের প্রার্থী কে হচ্ছেন তার খোঁজ করতে গিয়েই এসব জানা গেলো। নওগাঁ জেলা বিএনপি সভাপতি ও পৌর মেয়র নজমুল হক সনি ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু দু’জনই প্রার্থী হতে চান।


 
অন্যদিকে আওয়ামী লীগে মনোনয়ন পাবেন বর্তমান এমপি মালেক-এটা যেমন শোনা গেলো,  তেমনি নতুন চমক হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের ছেলে নিজাম উদ্দিন জন মাঠে নেমেছেন। তবে মাঠের সঙ্গে তুলনামূলক অপরিচিত জলিলের ছেলে জন। তার বাবার অবস্থান মুখ্য-ধরে নিয়ে তিনি মনোনয়ন চাইবেন।
 
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান এমপি মালেক বলছেন, হাইকমান্ড যাকে এই আসনে মনোনয়ন দেবে তিনিই হবেন প্রার্থী। দলের নেতারাও আমাকে প্রার্থী ধরে রেখেছেন।

কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ- দরকারে তাকে কাছে পাওয়া যায়নি। এলাকা বঞ্চিত থেকেছে উন্নয়ন থেকে।  
 
মালেক বলেন, আমার সঙ্গে আগের বার প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু নেত্রী ঠিক করেছেন তিনিই (নিজে) প্রার্থী হবেন। সে হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারও দল চাইলে তিনি প্রার্থী হবেন।
 
জলিল পরিবার থেকে প্রার্থী তালিকায় তার ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে জলিলের ছেলে জন বলেন, হাইকমান্ডের সিগন্যাল না পেয়ে তো আমি নামি নাই। এলাকায় যাচ্ছি। মানুষের দাবি-দাওয়া শুনছি। বোঝার চেষ্টা করছি। পারলে সমাধান করে দিচ্ছি।

তবে বয়সে তুলনামূলক একেবারেই তরুণ জন এখন তৃণমূলের মানুষের কাছে যেতে পারেননি বলে খোদ তার দলের নেতাকর্মীরাই বলছেন।
 
অবিবাহিত জন এখনও নিয়মিত ঢাকায় থাকেন। ৫ রমজান পর্যন্ত এলাকায় দলের কোন ইফতার অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি। যেখানে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইফতার নিয়েই ব্যস্ত।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যাইনি, যাবো। আর ঈদ তো বাড়িতেই করি। বাবার অনেক স্বপ্ন ছিলো। অসমাপ্ত যেসব কাজ ছিলো সেগুলো বাস্তবায়ন করার স্বপ্ন আমার।
 
এদিকে বিএনপির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ধলু সভাপতি পদ না পাওয়ায় দীর্ঘ দিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দেড় মাস আগে কেন্দ্র থেকে ডেকে নিয়ে তাকে দলে সক্রিয় হতে নির্দেশ দেয়া হয়। এখন দলের অফিসেই বেশি সময় তিনি থাকছেন।
 
কেডির মোড়ে দুপুরে দলের অফিসে গিয়েই তার দেখা পাওয়া গেলো। বললেন, নেত্রী আমাকে সদর আসনে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবেন। তবে এ আসনে এর আগে মনোনয়ন পাওয়া আব্দুল লতিফ এবারো প্রার্থী হতে চান।
 
কিন্তু বিএনপির তৃণমূল অংশ এবং সাধারণ মানুষের পছন্দের তালিকায় এখানে এখন আরো নাম শোনা যাচ্ছে জেলা বিএনপি সভাপতি নজমুল হক সনি’র। তিনিও হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। শেষমেষ প্রতিযোগিতায় বিএনপিতে থেকে তিনি আর আওয়ামী লীগ থেকে মালেক-এমন একটা আভাস পাওয়া গেলো।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৭
এসএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।