ঢাকা: মৌসুমের ঊষ্ণতম দিন অতিবাহিত হলো দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ, যা মৌসুমের সর্বোচ্চ।
শনিবার (১০মে) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৭, ঢাকায় ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ০৯ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থার্মোমিটারের পারদ ওঠে গেলে সেই অবস্থাকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ রেকর্ড এখনো ভাঙেনি।
গত বছর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের ওপর দিয়ে। পহেলা এপ্রিলে থেকে টানা ৩৭ দিন ছিল তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড। এছাড়া পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ২০২৪ সালে এপ্রিলে। সে সময় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে তবে সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী সিরাজগঞ্জ ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
রোববার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো / বৃষ্টি/বল্পসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৩মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার (১৪মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে।
ইইউডি/জেএইচ