ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় মারুথায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
ঘূর্ণিঝড় মারুথায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর মানচিত্রে ঘূর্ণিঝড় মারুথার অবস্থান

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ‘মারুথা’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম থাকলেও ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এজন্য সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।



রোববার (১৬ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’ আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়  কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।    

আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। তবে যেতে যেতে এর দিক পরিবর্তন হওয়া বিচিত্র নয়। ট্রাক, মুভমেন্ট, গতি এখনও পরিবর্তন হচ্ছে।
এটি সোমবার উপকূল (মিয়ানমার) অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মল্লিক।

তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, হাতিয়াসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম পূর্ব থেকে করা হয়ে থাকে। এই ‘মারুথা’ নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করছিল। পরে সেটি নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।