ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘নীলপারুল’র সৌন্দর্য

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯
‘নীলপারুল’র সৌন্দর্য থোকা থোকা হয়ে ফুটে আছে ‘নীলপারুল’। ছবি- মোল্লা রেজাউল করিম

মৌলভীবাজার: গাছের শাখায় থোকা থোকা হয়ে ফুটে আছে ‘নীলপারুল’। এর অপর নাম রসুন্দি। নীল গাঢ় হয়ে হালকায় হারিয়ে গিয়ে সেই নীল রঙটি সাদা রঙে এসে পরিবর্তিত হয়েছে। দূর থেকে নীল-সাদার এ সম্পর্ক মুগ্ধ করে রাখে প্রকৃতিকে। 

হেমন্ত ঋতুতে ফোটে ‘নীলপারুল’। তাও মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য।

তবে কম শীতেও দেখা মেলে এই সুন্দরীর। এছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়েও বিক্ষিপ্তভাবে ফুল ফোটে। সংখ্যায় কম হলেও প্রায় সারাবছরই গাছে কিছু কিছু ফুল দেখা যায়। থোকা থোকা হয়ে ফুটে আছে ‘নীলপারুল’।  ছবি- মোল্লা রেজাউল করিমজাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ফুলে ফুলে ‘নীল’ রঙের সৌন্দর্য ছাড়িয়ে আছে ‘নীলপারুল’। এ নীল রঙের সঙ্গে মানব মনের সম্পর্ক নিবিড়। তাই নীলপরী, নীলপদ্ম, নীলমণি, নীলতিমি, নীলশাড়ি, নীলা আকাশ, নীলনয়না, নীলাচল, নীলগাই, নীলকন্ঠ, নীলনদ, নীলসাগর ইত্যাদি নীল সম্পর্কিত প্রতিটি শব্দের সঙ্গে মানবাত্মার এক প্রেমময় অনুভূতি অতি সহজাত। নীলবেদনার সঙ্গেও ভিন্নতর এক প্রেমময়তার যোগসূত্র অবিচ্ছেদ্য।

তিনি আরো বলেন, পাতা ও বাকলের ঘ্রাণ রসুনের মতোই। স্বাদে ও গুনাবলীতে রসুনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার্য এই ‘নীলপারুল’। এর ইংরেজি নাম Garlic Vine এবং বৈজ্ঞানিক নাম Cydista aequinoctialis। এটি Bignoniaceae পরিবারের উদ্ভিদ। ফুলের রঙে এক মন আকুল করা নীলমিশ্রিত শুভ্রতার মায়াময় সংবেদনশীল সংযোগ এর মাধুর্যে এনেছে ভিন্ন মাত্রা।

বৃক্ষ এবং ফুলের শারীরিক গঠন সম্পর্কে মোল্লা রেজাউল করিম বলেন, এ গাছটির লতানো এবং চিরসবুজ। শক্ত, দীর্ঘ ও ঝোপাল। ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার লম্বা। শীর্ষ পাতাটিই মূলত আকাশিতে রূপান্তরিত হয়। ফুলের অগ্রভাগ ঈষৎ বেগুনি, নলাকার অংশটি ক্রিম সাদা। দল ফ্যানেলের মতো, মুখ ৪ সেন্টিমিটার চওড়া, তাতে ৫টি মুক্ত পাপড়ি আছে, সেগুলো গোলাকার ও ছড়ানো।

ঢাকায় রমনাপার্ক, বলধা গার্ডেন, বাংলাদেশে শিশু একাডেমি, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ অনেকের ব্যক্তিগত সংগ্রহেও দেখা যায় ‘নীলপারুল’ ফুলটিকে। কেউ কেউ শখ করে বাড়ির সীমানা প্রাচীরে লাগিয়ে রেখেছেন বলেও জানান জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।