ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘ফণি’, গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিমি.

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৯
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘ফণি’, গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিমি. নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’

ঢাকা: দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ প্রবল আকার ধারণ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তৃতি যেমন বেড়েছে, তেমনি গতিবেগও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে কিনা এটি এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে শঙ্কা কিছুটা রয়েছেই।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকরে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। সোমবারের (২৯ এপ্রিল) চেয়ে মঙ্গলবার দ্বিগুণ হয়েছে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ।

এই অবস্থায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলো দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

‘ফণি’ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৯৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এক্ষেত্রে সোমবারের চেয়ে মঙ্গলবার উত্তর পশ্চিম দিতে প্রায় সাড়ে ৩শ কিলোমিটার উপকূলের দিকে এগিয়ে এসে ঘূর্ণিঝড়। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস‍ আগে জানিয়েছিল, ভারত উপকূলে ‘ফণি’ আঘাত হানলে সেটা হবে ৪ মে রাত অথবা ৫ মে দিন। আর বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে সেটা আসবে ২ মে রাতের দিকে।

এদিকে ফরিদপুর, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, মোংলা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ বুধবার (০১ মে) প্রশমিত হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বর্তমানে পশ্চিম লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

ফণি ও লঘুচাপের এ অবস্থায় বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবেচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, ৬৩ মিলিমিটার। আর সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে ময়মনসিংহে ১ মিলিমিটার।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।