ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সুন্দরবন ও উপকূলের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
সুন্দরবন ও উপকূলের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবি

ঢাকা: সুন্দরবন ও উপকূলীয় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রয়োজন ‘সমন্বিত উদ্যোগ’। এজন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ থাকতে হবে। যাতে করে প্রান্তিক কৃষক, মৎস্যজীবী ও অন্যান্য পেশার মানুষদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে জীবনযাত্রার মানের টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সেমিনারে এমন দাবি জানানো হয়। সুন্দরবন বাঁচানোসহ উপকূলের কৃষি, মৎস্যখাতের টেকসই উন্নয়নের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বিসেফ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার ওয়ার্ল্ডের যৌথ আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, মায়ের মতো করে সুন্দরবন সবসময় সব দুর্যোগে আমাদের আগলে রেখেছে। সেই মায়ের সুরক্ষা নিয়ে কোনো সংশয়, কোনো ভিন্নমত থাকতে পারে না। সুন্দরবন রক্ষার জন্য স্বতন্ত্র ‘সুন্দরবন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান’ গড়ে তোলা দরকার।

বক্তারা আরো বলেন, অতীতের মতো এবারও সুন্দরবন আমাদের প্রাণ বাঁচিয়েছে। অথচ আমরা সুন্দরবন ধ্বংসে সহায়তা করছি। আমাদের এমন কোনো কাজ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে করা উচিত নয় যা সুন্দরবন ও এর জীব-বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে দেয়।

নাগরিক সেমিনারে সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, যে কৃষকের মেধা ও ঘামে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেই কৃষক সমাজই আজ বঞ্চিত। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে কৃষিতে এবার প্রায় ৮০১ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হলেও কৃষকদের পুনর্বাসনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র কিছু বীজ ও সামান্য সার। ‘বুলবুল’ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের পুনর্বাসনে সরকারের উচিত অবিলম্বে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা। উপকূলের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় মনযোগ না নিলে আগামীতে দেশ খাদ্য সংকটের হুমকিতে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বাপা’র সহ-সভাপতি ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আলতাব হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. তারিক হাসান, কৃষি বিজ্ঞানী ড. সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভারনমেন্টের সভাপতি ডা. আবু সাঈদ, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএএম/এবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।