ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জলবায়ুর ন্যায়বিচার পেতে তরুণদের নেতৃত্ব দিতে হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২২
জলবায়ুর ন্যায়বিচার পেতে তরুণদের নেতৃত্ব দিতে হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবে ঝুঁকি কমাতে ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দেশে তরুণদের যথাযথ নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, জলবায়ু ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে জলবায়ু সংকটের সমাধান খুঁজে বের করা বা এ গ্রহকে রক্ষায় এমনভাবে কাজ করা যেন প্রক্রিয়াটি ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত হয়।

জলবায়ু কর্মকৌশল প্রণয়নে বাংলাদেশি যুব ও তরুণদের প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত ঢাকা ক্লাইমেট টক ২০২২অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে এক ভয়াবহ বাস্তবতা বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য। কিন্তু এই প্রতিকূলতা আমাদের উদ্ভাবনী টেকসই সমাধানগুলো পেতে এক বিশেষ-দ্বার উন্মোচন করেছে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। খুব সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত হারে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়েই চলছে। এই সমস্যার সমাধান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এসব দুর্যোগ দেশের দরিদ্রদের বেশিরভাগ প্রভাবিত করছে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে আমাদের কৃষি খাতে।  

দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে সৃজনশীল সমাধান রয়েছে। বিশেষ করে ভৌগলিক অবস্থান, ভাষা এবং তার এলাকায় বিদ্যমান জলবায়ু ঝুঁকির প্রকৃতি বিবেচনা করে তরুণরা প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি উপযুক্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে পারে।

তিনি বলেন, টেকসই প্রকৃতি-ভিত্তিক জলবায়ু সংকটের সমাধানের জন্য সবুজ উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারে তরুণরাই।  

এনামুর রহমান বলেন, বড় সমস্যা হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দুর্যোগ তাদের জীবনকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। টেকসই এবং প্রকৃতি-বান্ধব ব্যবসা জীবনধারার জন্য উদ্যোগ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ঝুঁকি মোকাবিলায় জনগণ নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, ৪ নভেম্বর, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।