ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

কুমিল্লার হারে নিজেকেও দুষছেন জাকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
কুমিল্লার হারে নিজেকেও দুষছেন জাকের ছবি: শোয়েব মিথুন

বিপিএলের প্রথম দুই দিন ছিল কুয়াশায় আচ্ছন্ন। আজ অবশ্য রোদের দেখা মিলেছে।

কিন্তু দিনের প্রথম ম্যাচে আগের মতোই রানের দেখা মেলেনি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কেবল ১৪৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যার পেছনে মুল কৃতিত্ব জাকের আলীর। ৪৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার।

বিপিএলে এটাই তার প্রথম ফিফটি। কিন্তু দিনশেষে তা ভেস্তে যায় তৌহিদ হৃদয়ের অসাধারণ একটি ইনিংসে। ৫ উইকেটের হারের পেছনে অবশ্য নিজেকেও দুষছেন জাকের। কেননা স্লগে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি তিনি।  

হারের পর সংবাদ সম্মেলনে জাকের বলেন, ‘প্রথম ফিফটি করে তো অবশ্যই ভালো লাগছে তবে জিতলে আরও ভালো লাগত । আসলে আমরা সবাই তো ম্যাচ জেতার জন্য খেলি। আমার মনে হয় ফিফটিটা কাজে লাগত যদি আমরা ম্যাচটা জিততে পারতাম। ’

‘আবহাওয়া কিছুটা ভালো ছিল। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা সবসময় কঠিন, যেহেতু ওভারকাস্ট কন্ডিশন। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। দল হিসেবে আমরা ১৫-২০ রান কম করেছি। বিশেষ করে আমিও স্লগে এতোটা রান করতে পারিনি। দুটো ছয় মারলে সহজ হয়ে যেত যেহেতু আমি সেট ছিলাম। ’

বিপিএলের আগে বিসিএলে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন জাকের। বাংলা টাইগার্সের ক্যাম্পে থাকার পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের বিপক্ষে ‘এ’ দলের সিরিজেও খেলেছেন তিনি। তাতেই খুঁজে পেয়েছেন রান করার আত্মবিশ্বাস।

২৪ বছর বয়সি জাকের বলেন, ‘হ্যাঁ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রানে ছিলাম। সবচেয়ে ভালো কথা আমি খেলার মধ্যে ছিলাম। এ দলের খেলা ছিল। তারপর বাংলা তাইগার্সের ক্যাম্প ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করেছি। অনেকগুলো ট্যুর করায় কী হয়েছে, আমি আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত সিরিজ আমাকে খুব কাজে দিছে। তাই সিরিজগুলোতে ভালো খেলায়, প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সহজেই বড় রান করতে পেরেছি। ’

‘আত্মবিশ্বাসটা আসলে নিজে থেকেই আসে। আমি দলে আসার পর সবাই আমাকে বুস্ট করতেছে যে, তুই অনেক ফর্মে আছিস। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচেও আমি ভালো খেলেছি। ইমরুল ভাইও বলছিল তুমি ব্যাটিংইয়ে গেলে এমনিতেই রান হবে। তোমাকে দেখলেই বুঝা যাইতেছে। এই ছোট ছোট কথা গুলো একজন খেলোয়াড়কে অনেক এগিয়ে দেয়। ’

জাকের তার ফর্ম চালিয়ে নিতে চান আরও বহুদূর। তবে তার চেয়েও বেশি দল নিয়ে ভাবছেন তিনি, 
‘পঞ্চাশ করে আমি তৃপ্ত নই। এখনো আমার অনেক রান করার বাকি। দলকে জেতানোটাই গুরুত্বপূর্ণ। ফিফটি করেই যদি স্ট্রাইক রেটটা আরও বাড়াতে পারতাম, আরও দুটো ছয় বেশি মারতে পারতাম তাহলে দলের জন্য ভালো হত। ’ 

‘শেষ দুই ম্যাচে আমরা স্লগে রান করতে পারিনি। শেষ ম্যাচেও ১৫ ওভারের মতো ম্যাচে ছিলাম আমরা। কিন্তু স্লগে যেয়ে রান করতে পারিনি। আজকেও একই ঘটনা। আমি যদি আর দুইটা ছয় মারতে পারতাম তাহলে পরের ব্যাটারদের জন্য সহজ হতো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
এএইচএস/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।