ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে না পারলে কী হবে, ভাবেননি সাকিব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে না পারলে কী হবে, ভাবেননি সাকিব

শুরু থেকেই ছিলেন বেশ চনমনে। সাকিব আল হাসানের মুখে চওড়া হাসি।

কথা বলায় নির্ভারতা। দুদিন আগেও সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন, তখনও তার কণ্ঠ ছিল ভারি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারে বিপর্যস্ত দল পরের দিন কাটিয়েছিল বিশ্রামে।  

এরপর সংবাদ সম্মেলনের মাঝেই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেছেন ‘আমার কণ্ঠটা কি বদলানো মনে হচ্ছে?’ সাকিবের যতই স্বস্তি ফিরুক, দলের নিশ্চয়ই সেটি নয়। ছয় ম্যাচে স্রেফ এক জয়ে বাংলাদেশ এখন পয়েন্ট টেবিলের দশে।  

সেরা আটে থেকে শেষ না করতে পারলে খেলা হবে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এ টুর্নামেন্টে খেলার বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা ছিল অনেকদিন। বিশ্বকাপটা বাজে কাটানো ইংল্যান্ড কোচ ম্যাথু মটও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে সেরা আটে থাকতে হবে, এটি জানতে পেরেছেন বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলার পর।  

বাংলাদেশ অধিনায়ক কখন জেনেছেন? প্রশ্নটি করা হয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে। উত্তরে সাকিব বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে। ’ এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে বাংলাদেশ দলের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন রয়েছে।  

সাকিবও বিশ্বকাপ শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে অবসর নিতে চান। সেটি যদি শেষ অবধি বাংলাদেশ খেলতে না পারে? সাকিব জবাব দিয়েছেন, ‘এখনও ভাবিনি’ বলে।  

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ বাকি তিনটি। এর প্রথমটি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। পরের দুটি শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। এখন আসলে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য কী বিশ্বকাপে?

উত্তরে সাকিব বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি একটা লক্ষ্য। কিন্তু কত উপরে শেষ করা যায় সেটাও তো একটা লক্ষ্য। আমরা যেভাবে প্রত্যাশা করেছিলাম, সেভাবে করতে পারিনি। কিন্তু এখান থেকেও যদি আমরা ভালোভাবে খেলতে পারি, ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসতে পারি। ’

‘তাহলেও হয়তো স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারবো। তখন আমরা রিফ্লেক্ট করতে পারবো কী কী করলে আরও হয়তো ভালো হতো। সে জায়গা থেকে তিনটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে, কালকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেটাতে ফোকাস করার চেষ্টা করছি। ’

‘যার যার জায়গা থেকে তাদের নিজেদেকে মোটিভেটেড করতে হবে কিভাবে তারা ফর্মে ফিরতে পারে। তারা নিজেরাই পারে নিজেদের ফর্মে ফেরাতে। ব্যাটিং কিংবা বোলিং কিংবা ফিল্ডিং। ক্রিকেট টিম গেম হলেও ব্যক্তিগতভাবেও আপনাকে পারফর্ম করতে হয়। তারপরে সমষ্ঠিগতভাবে দল পারফর্ম করে। আমাদের ব্যক্তিগতভাবে পারফর্ম করার দায়িত্ব আছে। কিভাবে নিজেদের মোটিভেটেড করবো এবং পারফর্ম করবো। সেটা কেবল আমরাই পারি, আমাদেরই করতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।