ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নেপালের বিপক্ষে কোনোমতে একশ পার বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৪
নেপালের বিপক্ষে কোনোমতে একশ পার বাংলাদেশের

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে হারগুলোর একটি কি অপেক্ষায়? প্রথম ইনিংস শেষে খুব দূরের মনে হচ্ছে না সেটি। প্রথম বলে উইকেট হারিয়ে শুরু।

এরপর আর কোনো ব্যাটারই দলের হাল ধরতে পারেননি। শেষ উইকেট জুটিতে ভর করে কোনো মতে তাদের রান ছাড়িয়েছে একশ।

সোমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপাল। এই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১০৬ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগে কখনোই টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারাতে পারেনি নেপাল, এবার তাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ।  

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সম্পাল কামির বাউন্সার ডাউন দ্য উইকেটে এসে পুল করতে যান তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি, বোলারের কাছেই ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ওভার থেকে আসে স্রেফ ৩ রান।  

দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দীপেন্দ্র সিংয়ের বলে আউট হওয়ার আগে ৫ বলে ৪ রান করেন তিনি।  

মাঝে দুই ওভার বাদ দিয়ে আবার উইকেট এনে দেন সম্পাল। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে লিটন দাসকে ফেরান তিনি। তার বলে পুল করতে গিয়ে আসিফ শেখের হাতে ক্যাচ দেন লিটন। ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।  

পাওয়ার প্লের আগেই তাওহীদ হৃদয়কেও হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। রোহিত পোডেলকে সুইপ করতে গেলে বল বাতাসে ভেসে যায়। হৃদয়ের দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সন্দীপ লামিচানে। ৭ বলে ৯ রান করে আউট হন হৃদয়।

পাওয়ার প্লেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের জুটিটিই ছিল বাংলাদেশের জন্য বড় ভরসা। দুজন মিলে দলকে দিচ্ছিলেন ভালো কিছুর বার্তাও। কিন্তু হুট করেই ফের ঘটে ছন্দপতন!

কিন্তু ২০ বলে দুজনের ২২ রানের জুটি ভাঙে হতাশার রান আউটে। সাকিব আল হাসান ফুলটস বল পাঠিয়েছিলেন এক্সট্রা কাভারে। দৌড়ও শুরু করেছিলেন, কিন্তু হঠাৎ তার মনে হয় বলের কাছাকাছি আছেন ফিল্ডার। সাকিব ফেরত পাঠান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। কিন্তু তিনি ফেরার আগেই নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙে। ১৩ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রিয়াদ।  

তার আউট হওয়ার পর মাথায় হাত দিয়ে হতাশায় বসে পড়েন সাকিব। কিন্তু এরপর নিজেও দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস টানতে পারেননি। রোহিত পোডেলের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২২ বলে ১৭ রান করেন সাকিব। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি।

১৪তম ওভারের প্রথম বলে সন্দীপ লামিচানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তানজিম হাসান সাকিবকে। রিভিউ নিয়ে ওই বলে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু পরের বলে আরও এক গুগলিতে বোল্ড হয়ে যান ৫ বলে ৩ রান করে।

এরপর বাংলাদেশের জন্য শেষ ভরসা ছিলেন জাকের আলি। অনেকগুলো বলও খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু জাকেরও লামিচানের গুগলি না বুঝতে পেরে বোল্ড হয়ে যান। ২৬ বল খেলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

তার বিদায়ের পর রিশাদ একটু আশা জাগিয়েছিলেন। কুশল ব্রুথালকে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা ও দ্বিতীয়টিতে চার হাঁকান তিনি। ওই ওভার থেকে আসে ১৩ রান। কিন্তু পরের ওভারের প্রথম বলেই লং অফে ক্যাচ দেন রিশাদ।  

বাংলাদেশের একশ রানের আশাও তখন মনে হচ্ছিল দূরের কল্পনা। তবে শেষ উইকেট জুটিতে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ ১৪ বলে ১৮ রান করলে একশ ছাড়াতে পারে বাংলাদেশ। ‍তৃতীয় বলে মোস্তাফিজ রান আউট হলে জুটি ভাঙে। ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তাসকিন। নেপালের হয়ে দুই উইকেট করে নেন সম্পাল, লামিচানে, রোহিত ও দীপেন্দ্র।  

বাংলাদেশ সময় : ০৭০৯ ঘণ্টা, ১৭ জুন, ২০২৪
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।