টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার জন্য বিসিসিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। জানা যায়, বোর্ড সেটা গ্রহণ করেনি।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ব্যাগি ব্লু পরে টেস্ট ক্রিকেটে আমার ১৪ বছর হয়ে গেছে। আমি কল্পনাও করিনি, এই যাত্রা এবং এই ফরম্যাট আমাকে এই পর্যন্ত নিয়ে আসবে। এটা আমাকে পরীক্ষা করেছে, গঠন করেছে, আর সারাজীবনের জন্য শিখিয়েছে। ’
‘সাদা পোশাকে খেলার নিজস্বতা আছে। শান্ত পরিবেশ, লম্বা একটি দিন এবং ছোট ছোট কিছু মুহূর্ত যা কেউ হয়তো দেখেনা। কিন্তু নিজের সঙ্গে থাকে সারাজীবন। এই সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়া সহজ নয়। কিন্তু সঠিক মনে হয়েছে আমার কাছে। আমি আমার সবকিছু এখানে দিয়েছি। আর এটি আমার আশার চেয়েও বেশি কিছু দিয়েছে। ’
‘আমি বিদায় নিচ্ছি হৃদয়ভরা কৃতজ্ঞতা নিয়ে। কৃতজ্ঞতা জানাই এই খেলাকে, যাদের সঙ্গে খেলেছি তাদের এবং যারা আমাকে এই যাত্রায় সঙ্গ দিয়েছে সবাইকে। আমি সবসময় টেস্ট ক্যারিয়ারের দিকে তাকাবো হাসিমুখেই। ’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১১ সালের জুনে টেস্ট অভিষেক হয় কোহলির। শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে অ্যাডিলেডে দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি। পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্ন ও সিডনিতেই পান সেঞ্চুরির দেখা। ওই সিরিজে ৬৯২ রান করে আসেন লাইমলাইটে।
এই সিরিজে মাহেন্দ্র সিং ধোনি অবসর নিরে অধিনায়কের দায়িত্ব ওঠে কোহলির কাঁধে। এরপর তার নেতৃত্বে ৬৮ ম্যাচের ৪০ টেস্টেই জয়লাভ করে ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলি (৪৯ টেস্টে ২১ জয়) ও ধোনিকে (৬০ টেস্টে ২৭ জয়) ছাপিয়ে ভারতের ইতিহাসের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক হন তিনি। এখনও এই রেকর্ড তারই দখলে।
অসংখ্য রেকর্ড গড়া এই তারকার রয়েছে ভারতের জার্সিতে সাতটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। অধিনায়ক হিসেবে ২০ সেঞ্চুরি ও ৫ হাজার ৮৬৪ রান করা এই ব্যাটারের ধারেকাছেও নেই কেউ। সবমিলিয়ে ১২৩ খেলা কোহলি ৩০ সেঞ্চুরি ও ৩১ ফিফটিতে ৯ হাজার ২৩০ রানে শেষ করেন ক্যারিয়ার।
আরইউ