ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ঘরের মাঠে চিটাগংকে হারালো রংপুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
ঘরের মাঠে চিটাগংকে হারালো রংপুর চিটাগং ভাইকিংসকে হারালো রংপুর রাইডার্স

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ থাকা চিটাগং ভাইকিংসকে ৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হয় রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংস।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর।

২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংস থেমে যায় ১৬৭ রানে। দলের পক্ষে ইয়াসির আলী সর্বোচ্চ ৭৮ রান সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে ৪ ওভার বোলিং করে ৩ উইকেট তুলে নেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি।

এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিং সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাট করতে নেমে চিটাগংয়ের বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেন রংপুরের অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশো। চলতি বিপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন হেলস, তৃতীয় সেঞ্চুরি এলো রুশোর ব্যাট থেকে। টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরির অনন্য কীর্তি গড়ে দু’জনে মিলে রংপুর রাইডার্সকে এনে দেন রেকর্ড সংগ্রহ।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর। বিপিএলের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। ২০১৩ সালের আসরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ঢাকা ডায়নামাইটসের ২১৭ রান ছিল সর্বোচ্চ স্কোর।

হেলস ও রুশো ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। দু’জনেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। বিপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি পাওয়ার এটিই প্রথম ঘটনা। এর আগে আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে এক ম্যাচের এক ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিরাট-কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স।

এ ছাড়া ২০১১ সালে মিডলসেক্সের বিপক্ষে কেভিন ও’ব্রায়েন ও হামিশ মার্শাল একই কীর্তি গড়েছিলেন। আরও অবাক করা বিষয় হলো হেলস-রুশো দু’জনের নামের পাশে রান ঠিক ১০০! যদিও অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রুশো।

ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৬ রান তুলতেই ক্রিস গেইলের উইকেট হারায় রংপুর। ৬ বলে ২ রান করে আবু জায়েদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ক্যারিবীয় দানব। গেইল গেলেও ব্যাটে ঝড় তোলেন হেলস। মাত্র ৪৭ বলে তুলে নেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। এ সেঞ্চুরি করতে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এ ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

দলীয় ১৮০ রানে হেলস বিদায় নেওয়ার কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন এবি ডি ভিলিয়ার্সও। মাত্র ১ রান করে আবু জায়েদের বলে খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সেই সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক। কিন্তু অপর প্রান্তে ঝড় তোলা জারি রাখেন তারই স্বদেশী রাইলি রুশো। তুলে নেন ম্যাচের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ৫১ বলে তার অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটি ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো।

শেষদিকে ১০ বলে ১৫ রানের ছোট ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। আর মাত্র ৪ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে রেকর্ড গড়তে সহায়তা করেন নাহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসইউ/টিসি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।