ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্রত্যাবর্তনে উজ্জ্বল মাশরাফি, ঢাকার তৃতীয় হার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
প্রত্যাবর্তনে উজ্জ্বল মাশরাফি, ঢাকার তৃতীয় হার দল হারলেও বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন মাশরাফি/ছবি: শোয়েব মিথুন

এবারের বিপিএল দিয়ে দীর্ঘদিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে খেলছেন তিনি।

তবে ইনজুরির কারণে দলের প্রথম তিন ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি তার। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নেমে নিজে ভালো বল করলেও দেখলেন দলের ভরাডুবি।  

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার অষ্টম বিপিএলের ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে ঢাকা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০০ রানের সংগ্রহ গড়ে মাহমুদউল্লাহবাহিনী। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেন মোসাদ্দেক-মিঠুনরা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ২১ রানে ওপেনার লেন্ডি সিমন্সের উইকেট হারায় সিলেট। ক্যারিবীয় ব্যাটার ২১ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে মাশরাফির শিকারের পরিণত হন। 'নড়াইল এক্সপ্রেস'-এর বলে ক্যাচ নেন রুবেল হোসেন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন আনামুল হক। মিঠুন ১৫ বলে ৩ চারে ১৭ রানের ইনিংস খেলে হাসান মুরাদের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ তুলে দেন।  

৫৯ রানে ২ উইকেট হারানো সিলেট এরপর ঘুরে দাঁড়ায় আনামুল ও কলিন ইনগ্রামের ব্যাটে। দলকে জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে রেখে মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আনামুল। মাশরাফির শেষ ও ইনিংসের ১৭তম ওভারে তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে আনামুল খেলেন ৪৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস। ইনগ্রাম ১৯ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে মাশরাফি ২ উইকেট তুলে নিতে ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২১ রান। বাকি উইকেট মুরাদের।  

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি ঢাকা। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ৫ রানে উইকেট হারান। পরের ওভারেই মোসাদ্দেকের বলে এলবিডব্লিউ হন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। মাত্র ৩ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামা জহুরুল ইসলামও ফিরেছেন মাত্র ৪ রানে।

থিতু হয়ে ব্যাট করতে থাকা নাঈম শেখ নাজমুল ইসলাম অপুর বলে এলবিডব্লিউ হন। ৩০ বল খরচায় ব্যক্তিগত ১৫ রান করে তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সঙ্গ দেয়া আন্দ্রে রাসেল ফেরেন ডাক মেরে। পঞ্চদশ ওভারে অপুর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। ২৬ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন শুভাগত হোম। তাকে সঙ্গ দেয়া মাশরাফি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাসকিনের বলে সানজামুলের হাতে ক্যাচ তুলে ২ রানে বিদায় নেন দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। এরপর থিতু হয়ে থাকা শুভাগত হোম ১৬ বল খরচায় ২১ রান করে বিদায় নেওয়ার পর আর কেউ উল্লেখযোগ্য স্কোর করতে পারেননি। শেষদিকে এসে ৬ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন রুবেল। ইসুরু উদানা ১ রান করে বিদায় নেন। ১০০ রান যোগ করতেই গুটিয়ে যায় ঢাকা।

সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন অপু। তাসকিন পান ৩ উইকেট। সোহাগ গাজী ২টি ও মোসাদ্দেক ১টি করে উইকেট পান।

৪ ম্যাচে মাত্র ১ জয় ও ৩ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে সবার নীচে নেমে গেছে ঢাকা। ২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ হার নিয়ে সমান পয়েন্ট পাওয়া সিলেট আছে এক ধাপ উপরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।