ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আওয়ামী লীগের আমলে আলেম-ওলামারা ছিল বেশি নির্যাতিত: হারুন ইজহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
আওয়ামী লীগের আমলে আলেম-ওলামারা ছিল বেশি নির্যাতিত: হারুন ইজহার ...

চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলামের বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার বলেছেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আলেম-ওলামারা যেভাবে নির্যাতিত হয়েছেন তা ইতিহাসে বিরল। আমাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে।

অবাক হয়েছি, রিমান্ডে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও দূতাবাসের লোকজনও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।  

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণজমায়েতে এসব কথা বলেন তিনি।

 

মুফতি হারুন ইজহার বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে শুধু ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়নি, এর পিছনে মূল চালিকাশক্তি ছিল হিন্দুস্থানী আধিপত্যবাদ। তারা দেশের প্রত্যেকটা সেক্টরকে ধ্বংস করেছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনও ভারতে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রতিবিপ্লবের নেশায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে ‘ইসকন’ নামের সন্ত্রাসী সংগঠনকে তারা মাঠে নামিয়েছে।

ফ্যাসিবাদীরা সাধারণ হিন্দুদের অর্থের লোভ দেখিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ হিন্দুরা তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেয়নি। পা দিয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন। যেভাবে তারা আইনজীবী আলিফকে হত্যা করেছে, তা পুরো দেশকে হতবাক করেছে। অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।  

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায় জানিয়ে হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যতটুকু সম্পর্ক থাকা দরকার ঠিক ততটুকুই আমরা সম্পর্ক রাখবো। তবে আধিপত্যবাদ মেনে নিব না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই- ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারলে এদেশের দাসত্ব থেকে মুক্তি মিলবে না। মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ভারতের দাসত্ব থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলছি না। ভারতের আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে কোনো আপত্তি নেই আমাদের।  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতিবিদদের ‘বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার’ বন্ধের দাবিতে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে হেফাজতে ইসলামের যাত্রা, সমাবেশ ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি থাকলেও সিদ্ধান্ত বদলে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।  

নগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা ইকবাল খলিলের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন মনির, মাওলানা হারুন ইজহার, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা নুরুন্নবী, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মাওলানা আসহাব উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।