ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাস্তার পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি 

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৫০, মে ১৩, ২০২৫
রাস্তার পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি  ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: তীব্র দাবদাহে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত। নগরের ছুটে চলা তৃষ্ণার্ত পথিকের কাছে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত যেন বিলিয়ে দেয় শান্তির পরশ।

তাই চলতি পথে হরেক রকমের ঠাণ্ডা শরবতই যেন ভরসা পথিকের।

প্রতিবছর এপ্রিলের শুরু থেকে নগরের সব ব্যস্ত মোড়ে বসে ভাসমান শরবতের দোকান।

এসব দোকানে লেবু, বেল, পেঁপে, আখ, মাল্টা,আখের রস সহ বিভিন্ন ফলের শরবত পাওয়া যায়। আবার কেউ বিক্রি করেন ইসবগুলের ভুসি আর অরেঞ্জ পাউডার মেশানো শরবত।  

দোকানিরা জানান, গরমে ভাসমান দোকানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় লেবুর শরবত। প্রতি গ্লাস ১০ টাকায় বিক্রি হয় লেবুর শরবত। সাময়িক স্বস্তি পেতে স্বল্প আয়ের মানুষ, শিশুরাই মূলত এসব শরবত খান। একেকটি দোকানে প্রতিদিন দুইশ থেকে আড়াইশ গ্লাস শরবত বিক্রি হয়।  

আবার শরবত-জুসের দোকানেও গরমে এখন বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে খালি চোখে এসব দোকানের শরবত-জুস তৈরির প্রক্রিয়া পরিচ্ছন্ন মনে হলেও কতটুকু স্বাস্থ্যকর এনিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, এসব শরবত পানে তৃষ্ণা মিটলেও রয়েছে স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি। এসব পানীয়তে জন্ডিস, টাইফয়েড, কলেরা ও ডায়রিয়ার মতো রোগের জীবাণু। এক্ষেত্রে বোতলের সাধারণ বিশুদ্ধ পানিই সবচেয়ে ভালো। আবার অনেক পানীয়তে ক্ষতিকর নানা উপাদানও থাকতে পারে, যা বেশিরভাগ মানুষই জানে না।

এব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. স্বপ্নীল সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ফলের রস নিয়ে সমস্যার চাইতেও বড় সমস্যা হচ্ছে এটি তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে। কারণ এদের পানির ফিল্টার, বরফ, পানি কোনটাই পরিচ্ছন্ন নয়। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা অপরিষ্কার থাকেন। যে মগে বা গ্লাসে খাওয়াচ্ছে সেটিতে হাজারো মানুষ খাচ্ছে। উন্মুক্ত থাকায় পড়ছে ধুলা-বালি, উড়ছে মাছি। এসব দোকানের শরবত পানে জন্ডিস, টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। শরবতে মেশানো রঙে কারসিনোজেন থাকে, যা খেলে মানুষের ক্যান্সার হতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৫
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।