ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়া হবে গাবতলী ও যাত্রাবাড়ীতে: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়া হবে গাবতলী ও যাত্রাবাড়ীতে: মেয়র আতিক

ঢাকা: চীনের বেইজিংয়ের পাইকারি কাঁচাবাজারের আদলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাইকারি কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এজন্য কারওয়ান বাজারের দোকানগুলো সরিয়ে গাবতলী এবং যাত্রাবাড়ীতে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বেইজিংয়ের হোলসেল মার্কেট থেকে কনসেপ্ট (ধারণা) নিয়ে ডিএনসিসির মার্কেট তৈরি করা হবে। এখানকার মার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি, তারা আমাদের সঙ্গে ডিজাইন শেয়ার করবেন। ডিএনসিসির হোলসেল মার্কেটে বেইজিংয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে।

সোমবার (২২ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বড় কাঁচাবাজার সিনফার্তি মার্কেট পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ হোলসেল মার্কেট থেকে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের ৮০ ভাগ খাবার সরবরাহ করা হয়।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগে বেইজিংয়ের অনেক ব্যবসায়ী ফুটপাতে দোকান করে ব্যবসা করতে। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে সিনফার্তি মার্কেট বেইজিংয়ে যে উদাহরণ সৃষ্টি করল, সেটি অনুসরণ করে বেইজিংয়ের মতোই ডিএনসিসিতে হোলসেল মার্কেট করা সম্ভব হবে।

ঢাকাতে দুটি পাইকারি বাজার হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে ঢাকায় দুটি পাইকারি মার্কেট হবে। একটি হবে ঢাকা উত্তরে, অন্যটি ঢাকা দক্ষিণে। পাইকারি মার্কেট করার পর ঢাকার মধ্যে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে পারবে না। এটি করতে পারলে ঢাকা শহরের ট্রাফিক অনেক কমে যাবে।

ঢাকা শহরকে সুন্দর করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমাদের কারওয়ান বাজারকে সরিয়ে গাবতলীতে যে ডিএনসিসি মার্কেট করা হয়েছে, সেখানে এবং আরেকটি অংশ যাত্রাবাড়ীতে করা হবে। তার আগে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার। কারওয়ান বাজারে যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে গাবতলী নেওয়ার পর সবজির মার্কেট কোথায় হবে, মাংসের মার্কেট, মাছের মার্কেট কোথায় হবে পুরোটার মাস্টারপ্ল্যান আমরা করে ফেলেছি। মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে পর্যায়ক্রমে কারওয়ান বাজার থেকে মার্কেট সরিয়ে নেব। চ্যালেঞ্জ থাকবে, কিন্তু শহরটাকে সুন্দর করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

ডিএনসিসির পাইকারি মার্কেটে সিনফার্তির মতো আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি মার্কেটে ছোট আকারের পাওয়ারপ্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা করেছি। কারণ অনেক বিদ্যুতের দরকার আছে। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ সিনফার্তির মতো মার্কেটে হিমাগার দরকার, তাপমাত্রা কন্ট্রোল করা দরকার। এসব জায়গায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবার রাখা দরকার। এগুলো তারা সঠিক ব্যবস্থপনায় রেখেছে। তাজা খাবারের জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দরকার।

বেইজিংয়ের সিনফার্তি মার্কেট পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মো. মাহে আলম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমানসহ অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এইচএমএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।