ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি

ডলারের চাহিদা কমায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
ডলারের চাহিদা কমায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ডলারের চাহিদা কমে যাওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় সংগ্রহে কম আগ্রহ দেখাচ্ছে। আর এ কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে বলে মনে করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ‍ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।  

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, মার্কেটে চাহিদা কমে গেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ নির্বাহ করে ডিমান্ডের ওপর। গত কয়েক মাসে আমরা ভালো রেমিট্যান্স এনেছি, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি।  

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করার জন্য। কিন্তু এখন চাহিদা কমে আসছে। ডলার মার্কেটেও চাহিদা কমে গেছে। তবে এখনই বলার সময় আসেনি, রেমিট্যান্স কমে গেছে। আরও সময় আছে।  

দুর্বল ব্যাংক তুলনামূলক ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন সেলিম আর এফ হোসেন। তিনি বলেন, ভালো-মন্দ নির্ভর করবে একীভূত হওয়ার সময়ে ভালো ব্যাংকের ম্যানেজমেন্টের লক্ষ্যের ওপর। কারণ প্রতিটি দুর্বল ব্যাংকের কোনো না কোনো ভালো একটি দিক রয়েছে। কোনটির আছে অনেক গ্রাহক, কোনটির অনেক আমানত, কোনটির বিস্তৃত শাখা-সম্পদ, কোনটির নিজস্ব অবকাঠামো, কোনটির রিকভার হওয়ার মতো ঋণ, কোনটির আবার জনবল। এসবের একটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দুর্বল ব্যাংক আর দুর্বল থাকবে না।

ব্র্যাক ব্যাংক কোন দুর্বল ব্যাংককে সঙ্গে নিচ্ছে- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশির ভাগ একীভূতকরণ সফল হয় না, কিছু কিছু হয়। এটি নির্ভর করে কারা একীভূত করছে, তাদের লোকবল কেমন আছে বা কেমন দক্ষতা আছে। ব্র্যাক ব্যাংক কী করবে না করবে, এখনো আমরা বলতে পারছি না। কোন দিকে তাকিয়ে আছি- তা এখনো বলার মতো সময় হয়নি। তবে এটিও মনে করি, ব্র্যাক ব্যাংকের যে লোকবল আছে, যে সেটআপ আছে বা স্কিল আছে, অনেক কিছু করতে পারব।

সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি বলেন, কথা উঠতে পারে অনেকগুলো ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। সেক্ষেত্রে একীভূত হওয়ার আগে নিরপেক্ষ এবং সঠিক পক্ষের মাধ্যমে মূল্যায়নের পরই একীভূত হবে। এমন নয় যে, কোনো ভাল ব্যাংক একশ টাকার পণ্য পাঁচশ টাকা দিয়ে কিনছে। বিষয়টি এমন হবে না। ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা কী, তা নির্ণয়ের পরই একীভূত হবে।

তিনি বলেন, এটি ইতিবাচকভাবে নেওয়া সম্ভব। কেউ কেউ ভয় পাচ্ছেন, এখানে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে এমন একটি করে ঘটনা ঘটে। তারা এটিকে ইন-অরগানিক গ্রোথ বলে। আমরা যেমন ব্র্যাক ব্যাংককে একটি স্থানে নিয়ে আসতে পেরেছি, এটি হলো অরগানিক গ্রোথ।

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হওয়া চতুর্থ প্রজন্মের ছোট ব্যাংকগুলো দেশের যে আর্থিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল, এখন পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় সে অবস্থা নেই। ফলে ছোট ও দুর্বল ব্যাংক টিকে থাকবে, সে রকম পরিস্থিতি নেই। ফলে একীভূত হওয়া সঠিক পদক্ষেপ হবে। এবং সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজটি করেছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডলারের ওপর চাপ কমাতে আমদানি সীমিত করার যে কৌশল নেওয়া হয়েছিল, তা বাংলাদেশ ব্যাংক পুনর্বিবেচনা করতে পারে। আমদানি সীমিতকরণের মাধ্যমে ডলার পাচার রোধে ব্যাংকিং খাত নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।