ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির বাজারে স্বস্তি, আগের বাড়তি দামেই মুরগি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৭, মে ১৬, ২০২৫
সবজির বাজারে স্বস্তি, আগের বাড়তি দামেই মুরগি  ফাইল ছবি

ঢাকা: সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। সবজির দাম কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

আর আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি।  

শুক্রবার (১৬ মে) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া এলাকার কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়তে থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহেও কোনো সবজিই ৬০ টাকার নিচে ছিল না বলে জানান তারা।

কথা হলে তালতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা রফিক বলেন, সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণেই দাম কমতে শুরু করেছে। আগামীতে দাম আরও কমবে।

প্রকারভেদে বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা কমে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর মুখী ১০০ টাকা ।

শজনে ডাঁটার কেজি ১০০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কাঁচা আম ৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা।  

বাজারে শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ছোট আকারের ফুলকপি ৪০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা।  

লেবুর হালি ১০ থেকে ১৫ টাকা, ধনে পাতা ২৮০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, ক্যাপসিকাম ২৮০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

গত সপ্তাহের তুলনায় শাকের দামও কমেছে। লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে আলু কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪৫ টাকা। আদার কেজি ১২০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।

দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা। বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

সোনালি কক মুরগি ২৭০ এবং সোনালি হাইব্রিড ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকা।

গরুর মাংসের কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর ভুঁড়ি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ২০০ টাকা।  

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
এসএমএকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।