রাজশাহী: শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা সংস্কারের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)। এই কমিটি রাবি প্রশাসনের পক্ষে মেধাবি ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর আখতার হোসেন মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, মেধাবি ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়ন/আপগ্রেডেশন নীতিমালা-২২’ সংস্কার, সংশোধন, পরিমার্জনে করে উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব এই কমিটির সভাপতি। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ সদস্য সচিব।
২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৬তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এ নীতিমালা অনুসারে শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য একজন প্রার্থীর অনার্স ও মাস্টার্স ফলাফল ন্যূনতম সিজিপিএ- ৩ দশমিক ৫ এবং মেধাক্রমে ১-৭ এর মধ্যে থাকতে হবে। তবে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে কোনো প্রার্থীর অনার্স ও মাস্টার্সের ফলাফল সিজিপিএ- ৩ দশমিক ৫ এর নিচে হলে তা শিথিলযোগ্য হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রদত্ত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুসারে গণ্য হবে।
এর আগে ২০১৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান তার নিজ জামাতাকে চাকরি দিতে নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করেন। এতে অনার্স-মাস্টার্সে সিজিপিএ কমিয়ে ৩ দশমিক ২৫ এবং মেধাক্রমের শর্ত তুলে দেওয়া হয়। অথচ এটি ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের বহির্ভূত ছিল। তাই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে ইমেজ সংকটে পড়েন তৎকালীন ভিসি। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে। পরে তদন্তে অনিয়মের সত্যতা মেলায় ওই নিয়োগ বাতিল হয়। এছাড়া নতুন নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
এসএস/এমজে