ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কুয়েট ঘিরে আবার দানা বাঁধছে শঙ্কা

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
কুয়েট ঘিরে আবার দানা বাঁধছে শঙ্কা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)

খুলনা: ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে। রমজান ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে ৫০ দিন বন্ধের পর খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

আগামী ১৫ এপ্রিল দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে কুয়েট কর্তৃপক্ষ।  

তবে ক্লাস শুরু হবে কবে তার কোনো ঘোষণা আসেনি। একাডেমিক কার্যক্রমসহ বিশ্বদ্যিালয়ের সব দপ্তর বন্ধ থাকলেও আগামী রোববার (১৩ এপ্রিল) ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিয়ে ইতোমধ্যেই ফেসবুকে বার্তা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। কুয়েটে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মুখোমুখি অবস্থানে আবারও অস্থিরতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ থাকায় তারা বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থীর গবেষণার কাজ বন্ধ হয়ে আছে হলে ফিরতে না পারায়। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার নির্ভর করে তাদের করা টিউশনির টাকার ওপর। তাদের পরিবারও অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছেন। কিন্তু ছাত্রদের এসব সমস্যার পরও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কায় হল বন্ধ করে রেখেছে। এমতাবস্থায় কুয়েটে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ভিপি, সিআর, হল কমিটির মেম্বারসহ ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করার জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদন করেছে কুয়েট প্রশাসন। এমনকি অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে কুয়েটে না আসার জন্য রেজিস্ট্রার থেকে মেসেজ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর রোজা ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে ৫০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। ঈদের ছুটি শেষে ১৫ এপ্রিল প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরুর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওই বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় কুয়েট ১৯ ব্যাচের অফিসিয়াল পেজ ‘কুয়েট ১৯’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওই বিজ্ঞপ্তিকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে তা পরিহার করে ১৩ এপ্রিল হলে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হলসমূহ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক।

কিন্তু এ বিজ্ঞপ্তিকে শিক্ষার্থীরা ‘পরিহার’ করছেন। বরং ১৩ এপ্রিল সারা দেশ থেকে কুয়েটিয়ানরা তাদের নিজ নিজ হলে ফেরত আসবে বলে জানিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ ফেসবুকে সমালোচনাও করছেন। তারা বলছেন, ‘দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে। যত দ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সেশনজটের শঙ্কায় মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ’

শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, কুয়েট যত বেশি দিন বন্ধ থাকবে তাদের শিক্ষা জীবন শেষ হতে তত বেশি সময় লাগবে। কেননা স্বাভাবিক নিয়মে এখন এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার কথা।

‘দ্বন্দ্বের’ সূত্রপাত

১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদল-যুবদলের একদল নেতাকর্মী এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তখন দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। যাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।  

পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের একাডেমিক ভবনে তালা দেওয়ার পাশাপাশি ছয় দফা দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সব আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।  

আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। যদিও প্রশাসনের নির্দেশ মতো ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে হল ত্যাগ করতে শুরু করেন তারা।  

সংঘর্ষের ঘটনায় কুয়েট প্রশাসন খানজাহান আলী থানায় ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৪শ-৫শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে।

শিক্ষার্থীদের যে অভিযোগ-অবস্থান

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ছাত্রদল ও বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপাতি, রামদা, পিস্তল দিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। এরপর কুয়েটের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে ছয় দফা দাবি জানায়, ভিসির পদত্যাগ দাবি করে এবং ভিসি পদত্যাগ না করায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার অভাবে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর নতুন প্রশাসন নিয়োগের জন্য স্মারকলিপি প্রদানের লক্ষ্যে কুয়েট ত্যাগ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিউশন, রিসার্চ ও বিবিধ কারণে এসময় অনেক শিক্ষার্থী কুয়েটে থেকে যান। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই কুয়েট প্রশাসন কর্তৃক হল ভ্যাক্যান্টের নির্দেশ আসে। এসময় ওয়াইফাই, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, রোজার সময় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেন, কুয়েট মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেও বাধা পান শিক্ষার্থীরা। ঈদের দিন কুয়েটের অ্যালামনাইদেরও কুয়েটে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। অথচ একই সময়ে যারা স্থানীয় বাসিন্দা কিন্তু শিক্ষার্থী নন, এমন ব্যক্তি এবং কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক যে, নিজেদের ক্যাম্পাসে পরিচয় সত্ত্বেও শিক্ষার্থী বা অ্যালামনাইদের ঢুকতে বাধা দেয় কুয়েট প্রশাসন।

এতে আরও বলা হয়, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসারে ঈদের ৬ দিন পরে হল খোলার কথা থাকলেও এখনো হল বন্ধ এবং হল খোলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথাও নেই। রিসার্চ ও টিউশনসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীরা হল কমিটির মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে হল খোলার আবেদন জানায়। হল কমিটির সঙ্গে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের (ডিএসডব্লিউ) মিটিংয়ে বলা হয়, ১৫ তারিখ দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হলে সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে হল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের ঢিলেমি দেখে হল কমিটি, সিআর-এসিআর ও ভিপিরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ১৩ এপ্রিল সবাই একসঙ্গে কুয়েটে গিয়ে হল খোলা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত দেখার পর শিক্ষার্থীরা যাতে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে এজন্য ১১ এপ্রিল থেকে কুয়েটে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৮ ফেব্রুয়ারি যখ  শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের হাতে মার খাচ্ছিল, তখন পুলিশ না আনতে পারলেও এখন শিক্ষার্থীদের নিজের ক্যাম্পাসে প্রবেশ রুখতে পুলিশ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবাঞ্ছিত প্রশাসন। উপরন্তু কুয়েট থেকে শিক্ষার্থীদের বাসায় মেসেজ দিয়ে বলা হচ্ছে, প্রশাসন কর্তৃক হল না খোলা পর্যন্ত যেন শিক্ষার্থীদের বাসা থেকে কুয়েটে না পাঠানো হয়।

‘এভাবেই শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে, একের পর এক হঠকারী সিদ্ধান্ত বারবার একই বিষয় প্রমাণ করে যে, বর্তমান কুয়েট প্রশাসন কোনোক্রমেই শিক্ষার্থীবান্ধব নয় এবং এই প্রশাসনের হাতে কুয়েট নিরাপদ নয়। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার নিকট আমাদের দাবি, একজন নতুন এবং নিরপেক্ষ ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে যেন আরও শিক্ষার্থীবান্ধব করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা যেন স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারে–সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। ’

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যতই আমাদের ভয় ভীতি দেখানো হোক, আমরা জানি সত্য ও ন্যায়ের বিজয় হবেই। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল আছি, আগামী ১৩ এপ্রিল আমরা একযোগ আমাদের কুয়েট ক্যাম্পাসে আসব; কুয়েটকে এই স্বৈরাচারী প্রশাসনের হাত থেকে মুক্ত করব।

যা বলছেন কুয়েট উপাচার্য

বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ বাংলানিউজকে বলেন, একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে সিন্ডিকেট সভা করে। যেহেতু এটা সিন্ডিকেট সভা করে বন্ধ করা হয়েছে সেই কারণে সিন্ডিকেট সভা ছাড়া খোলা সম্ভব না। আগে যেমন আমি নিজে হল বন্ধ করতাম এবার সিন্ডিকেট সভা করে হল বন্ধ করা হয়েছে। স্টুডেন্টরা আসলে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। এই যে বন্ধটা, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত। আপনি যদি আমাদের ক্যালেন্ডার দেখেন তাহলে দেখবেন রমজানের শুরু থেকে আমাদের বন্ধ শুরু হবে অর্থাৎ মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে, এটা আমাদের পূর্ব নির্ধারিত। স্টুডেন্টদের মূলত এক সপ্তাহ লস হয়েছে। আমি আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের ভেতর তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে যাবো। তারপরে ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত আসবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১,  ২০২৫
এমআরএম/এইচএ/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।