ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সার্ভার স্টেশন উদ্বোধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সার্ভার স্টেশন উদ্বোধন

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সার্ভার স্টেশন চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার নিজস্ব প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশাল তথ্য ভাণ্ডারের সুষ্ঠু সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, নিরাপদ সেবা প্রদান, অধিদপ্তরের অংশীজনদের জন্য অনলাইন সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, অধিদপ্তরের সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপদ সংরক্ষণ ও ব্যাকআপ সার্ভিস নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে এ সার্ভার স্টেশন চালু করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এ উদ্বোধন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সার্ভার স্টেশনটিতে উচ্চ ক্ষমতা সার্ভার এবং স্টোরেজ সিস্টেম; ক্লাউড সার্ভিস ও ভার্চুয়ালাইজেশন; ২৪/৭ বিদ্যুৎ ও টেকসই নেটওয়ার্ক সংযোগ; কুলিং সিস্টেম; ফায়ার প্রোটেকশন সিস্টেম; উন্নত সাইবার সিকিউরিটি; ফিজিক্যাল সিকিউরিটি; কালিয়াকৈর ডাটা সেন্টারে ডিজেস্টার রিকভারি এর সংযোগ গ্রহণ সুবিধা রয়েছে। সার্ভার স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি টাকা এবং অডিটরিয়ামটির আধুনিকায়নে ব্যয় হয়েছে ৯৭ লাখ টাকা।

এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরে আধুনিকায়নকৃত অডিটরিয়ামে ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানকৃত প্রধান শিক্ষকগণের ওরিয়েন্টেশনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন। ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে ১৫১ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন।

প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যে দায়িত্বে এসেছেন এটা এক ধরনের ব্যতিক্রমী চাকরি। আপনি একটি প্রতিষ্ঠানের মূলব্যক্তি, যে প্রতিষ্ঠান আমাদের শিশুদের নতুন জীবনের জন্য প্রস্তুত করছে। অন্য একটি চাকরি থেকে আপনার এ চাকরির পার্থক্য রয়েছে। আপনার এ চাকরিতে অন্যক্ষেত্রে যে সুবিধা আছে এক্ষেত্রে হয়তো নেই। আবার আপনার যে সুযোগটি আছে সেটি অন্য চাকরিতে নেই। ফলে আপনি যে জীবনটি যাপন করবেন, সেটিকে গ্রহণ করে সেটিকে কিভাবে আপনার চূড়ান্ত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যায় সেটি কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুব ভালো চলছে না। কিন্তু ব্যতিক্রম রয়েছে-আমাদের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যেগুলো খুবই ভালো চলে। সেখানে ভর্তি হওয়ার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা হয়, তদবির হয়। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয় ভালো চলে সেগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেখানে প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন ভালো। প্রধান শিক্ষক ভালো না, স্কুল ভালো চলছে, এমনটি আমরা দেখি না। ফলে একটি বিদ্যালয়ের মূল ব্যক্তি হচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। আমাদের ইচ্ছা কতটুকু পারবো জানি না, আপনাদের পোস্টগুলোকে আপগ্রেড করা, আপনাদের বিকাশের সুযোগ করা, স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করা। আপনাদের কাজটি সহজ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদেরকে স্বাক্ষর করে তোলা। ভাষায় ও গণিতে স্বাক্ষর করে তোলা। মাতৃভাষায় জোর দেওয়া। মাতৃভাষা আয়ত্ব করতে পারলে অন্য সব ভাষা আয়ত্ব করতে পারবে। মাতৃভাষা আয়ত্ব করতে না পারলে অন্য ভাষা আয়ত্ব করা যায় না। প্রকৃত সাক্ষরতা অর্জনে আপনারা সহায়তা করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
এমআইএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।