ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আরও কঠোর হবো: ইসি রাশেদা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আরও কঠোর হবো: ইসি রাশেদা

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোতে আরও কঠোর হবো। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবো।

নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সোমবার (২৯ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, গাজীপুরে নির্বাচনে কতটুকু কী হয়েছে জনগণ তার রায় দিয়ে দেবে। আমরা শুধু বলতে চাই, আগেও চেয়েছি ভবিষ্যতেও চাইবো যতগুলো নির্বাচন করবো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যেন হয়। মানুষ যেন আসে এবং ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে এটাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। সেটি সব সিটি কেন, জাতীয় নির্বাচনেও আমরা একই নীতিতে থাকবো। কঠোর এবং আরও কঠোর হবো কি না এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আমরা আরও কঠোর হবো। আমাদের একটাই ইচ্ছা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। যে নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারবে।

চার সিটি একপাক্ষিক ভোট হচ্ছে, এতে নির্বাচন কমিশনের তপ্তির জায়গা কতটুকু- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে কে আসবে, না আসবে এটা তাদেরই ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হবেন, বা হতে চান না, এটি একদমই নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনের ওইভাবে কাউকে আনার সুযোগ নেই। এলে আমরা অবশ্যই ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন পাবো। কাজ করে আনন্দ পাবো। না এলেও নির্বাচন করতে হবে। এজন্য তো আমরা স্টপ হয়ে যেতে পারি না। এ কারণে আমাদের তৃপ্তি বা অতৃপ্তির সুযোগটা আসলে নেই। এখনও আহ্বান করি যারা নির্বাচনে আসছেন না, তারা আসুক, নির্বাচন করুক। অসুবিধাতো নেই।

সিসি ক্যামেরা জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার হবে কি না- জানতে চাইতে রাশেদা সুলতানা বলেন, এটি নিয়ে আমরা অনেকবার বলেছি। নতুন করে বলার কিছু নেই। সময় আসুক। সময় এলে আপনারা দেখতে পারবেন। এ মুহূর্তে আমরা এটি নিয়ে বসি নিই। অন্য নির্বাচনগুলো নিয়ে এখন আমাদের মনোযোগ বেশি। এগুলো গেলে তারপর যখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজ শুরু করবো, তখন দেখবো। এখন অগ্রিম কিছু বলতে পারছি না।

জাতীয় নির্বাচনের আগে মডেল নির্বাচন বলছেন, তো সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না, এখনও জানেন না, তাহলে এ নির্বাচনকে কীভাবে জাতীয় নির্বাচনে মডেল হিসেবে কাজে লাগাবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সিসি ক্যামেরা, নতুন প্রযুক্তি, ইভিএম, এসব নিয়ে ভোট করতে পারলে নির্বাচন খুবই ভালো হতো। যারা ভোটের আয়োজন করছি তারা স্বত্বিতে থাকতো। কারণ ইভিএমের ভোটটা অনেক দিক দিয়েই সহজ। জাল ভোট হয় না, সহিংসতা যেটি, এমন নানা দিক থেকে গণনা করা সহজ। অতো টাইমও লাগে না। কিন্তু ইভিএমটা হয়নি, সেজন্য তো হাল ছেড়ে দিলে তো চলবে না। সনাতন পদ্ধতিতে যেটি আগে থেকে হয়ে আসছে, এখন ইভিএমে না হলে আমরা পারবো না, এটা তো বলতে পারবো না। আমাদের এজন্য আইনে যা আছে ব্যালটে করা, এগুলো যেন আমরা আরও সুন্দরভাবে করতে পারি, সেজন্য আমরা পন্থা অবলম্বন করবো। যতখানি মোটিভেশনাল কাজ করা দরকার, যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেগুলো আমরা নেবো।

সাবেক এ জেলা জজ বলেন, ব্যালটে নির্বাচনটা কিন্তু হয়ে আসছে। কখনও হয়তো অনেকের পছন্দ হয়নি, কখনও হয়তো পছন্দ হয়েছে। নিশ্চয়ই জনগণের কষ্টের সৃষ্টি হয় সে দিকগুলো অবশ্যই আমরা নোটিশ করবো। সে জায়গাগুলোতে ব্যাপক ওয়ার্ক করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার চেষ্টা করবো।

আমরা তো চেয়েছি (ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা), এখন না পেলে তো বলতে পারবো না যে নির্বাচন করবো না। ইভিএমও আমরা চেয়েছি। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে হয়ে ওঠেনি। এজন্য তো ভেঙে পড়লে চলবে না। মনোবল হারালেও চলবে না। আমাদের যা আছে তার মধ্যেই যতটা ভালো করা যায় সে চেষ্টা করবো।

সিসি ক্যামেরা নিয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্তই নেই। তাই এটি নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারবো না।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ভোট চলাকালে গাইবান্ধার মতো ভোট বন্ধ করার ক্ষমতাটা আমাদের আছে। এখন গেজেট হওয়ার আগে ভোট বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিলাম, সেটিও পেয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।