ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

তাপদাহে ওষ্ঠাগত রাজশাহীর জনজীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
তাপদাহে ওষ্ঠাগত রাজশাহীর জনজীবন

রাজশাহী: বৈশাখী ঝড়-ঝঞ্ঝার পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে রাজশাহীর প্রকৃতি। আগুন ঝরানো আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি দশা। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রায় একই তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সেজন্য প্রকৃতির একটু শীতল পরশের জন্য এখন ব্যাকুল হয়ে উঠেছে পদ্মাপাড়ের মানুষ। 

বৈশাখের দিন যত গড়াচ্ছে তাপমাত্রা ততই বাড়ছে। দিনভর সূর্যের অগ্নিবান আর লু হাওয়া, রাতের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সবার।

বৃষ্টির জন্য পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে যেনো হাহাকার পড়ে গেছে।  

আগুন ঝরানো সূর্যের তাপে বর্তমানে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তীব্র রোদে পুড়ছে বরেন্দ্রর মাটি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় থেকে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

সাধারণত তাপপ্রবাহ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। ফলে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  

জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ থাকলেও বিকেলে তা কমে দাঁড়ায় ৩৪ শতাংশে। ফলে তাপদাহে সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে।  

ভারী বৃষ্টিপাত না হলে এই তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান আবহাওয়াবিদ রাজীব খান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
এসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।