ঢাকা, শনিবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

ফুটবল

একুশে পদক গ্রহণ করল নারী ফুটবল দল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
একুশে পদক গ্রহণ করল নারী ফুটবল দল ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতায় এই পুরস্কার পেয়েছে তারা।

এছাড়া ফুটবল খেলে সমাজ পরিবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।  

প্রথমে নারী ফুটবল দলের ১১ জনকে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাফুফে কোন ১১ জনকে পাঠাবে তা নিয়ে বিপাকে পড়েছিল। পরে বাফুফে দলের ৩২ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনুরোধ করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে।

শেষ পর্যন্ত ২৩ ফুটবলার ও কোচ-কর্মকর্তাসহ বাকি ৯ জনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। দলের পক্ষ থেকে পদক গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সর্বশেষ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অন্য ফুটবলাররাও।

গত বছরের অক্টোবরে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। যে দলে ছিলেন রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা।

এর আগে কোনো ক্রীড়া দল একুশে পদক পায়নি। সংস্থা হিসেবে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে স্বাধীনতা পদকের জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অনেকবারই আবেদন করেছিল; কিন্তু তারা এখনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।