ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

১১ মাস ধরে হাসপাতালে যান না ডা. সাবরিনা, রোগীদের দুর্ভোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
১১ মাস ধরে হাসপাতালে যান না ডা. সাবরিনা, রোগীদের দুর্ভোগ হাজীগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে অপেক্ষমান রোগীরা

চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র গাইনি ডাক্তার সাবরিনা কাদির ১১ মাস ধরে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত। অথচ ২০২২ সালের ৪ জুনের পর থেকে কোনো ছুটি নেননি তিনি।

কোথাও খোঁজ করেও তার খবর মিলছে না।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যোগদানের তিনমাস পর ছুটি না নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন ডা. সাবরিনা কাদির। তিনি এখন কোথায় আছেন তা জানেন না কেউ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন, হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি জুনিয়র কনসালট্যান্ট সাবরিনা কাদির। একে একে ছয়বার নোটিশ করেও তার হদিস মেলেনি। এ বিষয়ে একাধিকবার লিখিতভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।

এদিকে এ চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। যদিও গাইনি চিকিৎসক হিসেবে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনও তার নামই আছে। চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।

হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গৃহবধূ তামান্না আক্তার আদিবা বলেন, শুনেছি সরকারি হাসপাতালে ভালো গাইনি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এসে দেখি গাইনি চিকিৎসকের কক্ষ বন্ধ। পরে জানলাম গত ১০ মাস ধরে তিনি হাসপাতালে আসেন না।  
আদিবার মতো এমন অনেক নারী চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। ভর্তি রোগীরাও গাইনি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত।  

এই চিকিৎসক হঠাৎ এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণ কি? তার উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউই দিতে পারেননি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে জানা গেছে, গাইনি চিকিৎসক ডা. সাবরিনা কাদিরের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দিসাবন গ্রামে। তার গ্রামের ঠিকানায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ৬ বার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ওই নোটিশে, তার পদটি শূন্য করতে বলা হয়।

সাবরিনার নিখোঁজের বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নাঈম বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে ২০২২ সালে ৬ মার্চ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন সাবরিনা। এরপর মাত্র তিন মাস কর্মক্ষেত্রে আসেন। একই বছরের ৪ জুন কাউকে কিছু না বলে উধাও হয়ে যান তিনি। গেল ১১ মাস ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত তিনি। কেনো হাসপাতালে অনুপস্থিত ও কবে নাগাদ যোগদান করবেন জানতে চেয়ে তাকে একে একে ৬ বার নোটিশ করার পরও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন এই বিষয়ে বলেন, ডা. সাবরিনা কাদির কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যান। তিনি এখন কোথায় আছেন তা এখনো জানা যায়নি। দুই মাস পর পর নোটিশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত এলে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।