ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি, এক মাস আগে কোচিং বন্ধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি, এক মাস আগে কোচিং বন্ধ

ঢাকা: আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আর এক মাস আগে ৯ জানুয়ারি থেকে মেডিকেলে ভর্তির কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।  

এক মাস পর ৮ মার্চ ডেন্টালের বিডিএসের ভর্তি পরীক্ষা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আমরা একটি শিডিউল ঠিক করেছি, সে অনুসারে পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষার শিডিউলের পাশাপাশি কীভাবে মান উন্নয়ন করা যায়, কীভাবে আরও যুক্তিসঙ্গত পরীক্ষা নেওয়া যায়, যাতে ভালো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ভর্তির যোগ্যতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। যেটা আগেও ছিল। মাইগ্রেশনের সুযোগ তিনবার রাখা হয়েছে। সব কলেজে একবারে চয়েস দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিদেশি শিক্ষার্থীরা ৪ জানুয়ারি এবং দেশি শিক্ষার্থীরা ১১ জানুয়ারি থেকে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ২৩ জানুয়ারি। ফি জমার শেষ তারিখ ২৪ জানুয়ারি। প্রবেশপত্র বিতরণ হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। হাজিরা সিট ডাউনলোড করা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষা হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে। এবারও ভর্তি ফি এক হাজার টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ১১ হাজার ৭২৮টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এক হাজার ৩০টি সিট বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেলগুলোতে মোট আসন ৬ হাজার ৩৪৮টি। আর্মি মেডিকেল কলেজেও ৩৭৫টি আসন রয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর প্রায় দেড় লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিল। এবার আশা করি কম হবে না, আরও বেশি হবে।

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কারও কোনো কমপ্লেইন ছিল না। প্রশ্ন ফাঁসের যে বিষয় ছিল ২০১০ সালে, পরীক্ষার সিস্টেমটা এখন আমরা অনেক উন্নত করেছি। অত্যাধুনিক করেছি। এখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রশ্নটা যেখানে তৈরি হয়, বিশেষ কয়েকজনের মধ্যে সেটা সীমাবদ্ধ থাকে। এমনভাবে করা হয়, সেখানে কেউ ঢুকতে পারে না, যেতেও পারে না। যারা প্রশ্ন তৈরি করে তারা ওখান থেকে বের হয় না। প্রশ্ন বিলি হওয়ার পর তারা বের হতে পারে। প্রশ্ন যে বাক্সে থাকে সেই বাক্সে কেউ হাত দিলে লালবাতি জ্বলে ওঠে। যত রকমের পদ্ধতি আছে আমরা সেটা প্রয়োগ করছি।

রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখান থেকে মানসম্মত ডাক্তার তৈরি হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে কোনো মেডিকেল কলেজ তৈরি হয় না প্রয়োজনের কারণেই তৈরি হয়। দেশে এখনো অনেক ডাক্তারের ঘাটতি রয়েছে। দেশে এক লাখ ডাক্তার রয়েছে, আমাদের প্রয়োজন প্রায় দুই-আড়াই লাখ ডাক্তার। যারা মান বজায় রাখতে পারছে না, তাদের আমরা ছেড়ে দিচ্ছি না। কঠিন শাস্তি দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।