কলকাতা: অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং ভারতে বসবাসের অভিযোগে সাত বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে রয়েছে তিনজন নারী এবং চারজন পুরুষ।
শনিবার (৩ মে) রাজ্যটির নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানা বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযোগ, তারা ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরত যাচ্ছিল।
পুলিশের তথ্য মতে, ৭ বাংলাদেশি তিন বছর আগে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরপর ভারতীয় দালালদের সহযোগিতায় ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে। পরবর্তীতে কর্মসূত্রে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের চলে যায় তারা। শনিবার সকালে নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার পুলিশ জানতে পারে যে ভারতীয় দালালের সহযোগিতায় ওই বাংলাদেশি নাগরিকরা ফের অবৈধভাবে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই হাঁসখালি থানার পুলিশ ওই ৭ বাংলাদেশিকে আটক করে।
আটকদের বিরুদ্ধে ফরটিন ফরেনারস অ্যাক্ট, পাসপোর্ট আইনসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এরপর আটকদের নিজেদের হেফাজতে নেয় হাঁসখালি থানা। আটকদের রিমান্ডে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইছে পুলিশের তদন্তকারী কর্তারা।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর গুজরাট, মুম্বাই, মণিপুর, দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযান সন্ধান চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশের ধরপাকড়ের হাত থেকে নিজেদের বাঁচতে, অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিরা গোপনে ভারত ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
এমনিতে গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই সীমান্তে একাধিক অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরেই বেশ কিছু বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ভারতীয় দালালরাও। অনেক ক্ষেত্রে গুজরাট, মুম্বাইয়ের মতো ভিনরাজ্যে বাংলাদেশি ধরতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও সমস্যায় পড়ছে।
এদিকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যও সামনে এসেছে। এই ইস্যুতে বিএসএফকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জবাবে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।