ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের প্রথম বার্তা, প্রকাশ্যে পুতিন ও শোইগু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের প্রথম বার্তা, প্রকাশ্যে পুতিন ও শোইগু

রাশিয়ায় ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এক অডিও বার্তায় বলেছেন, তিনি সরকার উৎখাতের জন্য মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেননি।  

ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর সোমবার দেশটির সরকারি টিভিতে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে দেখা গেছে।

বিবিসি।

প্রায় ১১ মিনিট স্থায়ী অডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেন, তার সেনাদলের দুটি শহরের সামরিক স্থাপনা দখল ও মস্কোর দিকে যাত্রার লক্ষ্য ছিল প্রতিবাদ জানানো, সরকার উৎখাত করা নয়।

রুশ কর্তৃপক্ষ আগামী ১ জুলাই থেকে ওয়াগনার গ্রুপকে বন্ধ করে দিয়ে এর সৈন্যদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিল। প্রিগোজিন বলছেন, তার গ্রুপ এর বিরোধী ছিল এবং কমান্ডাররা কেউই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে সই করতে রাজি হননি।

তিনি আরও বলেন, ওয়াগনার গ্রুপকে সক্রিয় রাখার উপায় বের করতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো সহায়তা করেছেন।

প্রিগোজিন তার বার্তায় রুশ নিরাপত্তা বাহিনীর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ওয়াগনারকে প্রথম আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হলে অনেক আগেই ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শেষ হয়ে যেতো।

ব্যর্থ বিদ্রোহের পর এই ভাড়াটে বাহিনীটির ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে সোমবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, আফ্রিকা মহাদেশের মালি ও মধ্য-আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ওয়াগনার গ্রুপের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর প্রথম প্রকাশ্যে পুতিন ও শোইগু

ক্রেমলিন সোমবার ভ্লাদিমির পুতিনের একটি ভিডিও ভাষণ অনলাইনে পোস্ট করে। ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ অবসান এবং এই গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের রাশিয়া ত্যাগের পর প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কোনো ভিডিওতে দেখা গেল।

এতে একটি যুব শিল্প ফোরামে আগত অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে রুশ প্রেসিডেন্টকে ভাষণ দিতে দেখা যায়। এতে তিনি ওয়াগনার গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলীর কোনো উল্লেখ করেননি। তবে ভাষণটি কখন রেকর্ড করা হয় তা স্পষ্ট নয়।

এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট পুতিন সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়।

বিবৃতিতে ওয়াগনার বিদ্রোহের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট রুশ নেতৃত্বের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

সংবাদদাতারা বলছেন, পুতিন ও তার সরকার যে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করে যাচ্ছে এমন একটা চিত্রই তুলে ধরা হচ্ছে।

অন্যদিকে যে শহরটি ছিল ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহী তৎপরতার কেন্দ্র - সেই রোস্তভ-অন-ডনে ঐক্যের ডাক ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী সংবলিত পোস্টার দেখা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

টেলিগ্রামে স্থানীয় একটি চ্যানেলে এসব পোস্টারের ছবি দেখা যায়।

ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ অবসান এবং এই গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের রাশিয়া ত্যাগের পর সোমবার প্রথমবারের মতো শোইগুকেও টিভিতে দেখা গেছে।

শোইগুকে ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সৈন্যদের পরিদর্শন করতে দেখা যায়, তবে কখন এবং কোথায় এসব ভিডিও ধারণ করা হয়েছে তার কোন আভাস দেওয়া হয়নি।

ওই বিদ্রোহের সময় প্রিগোজিন শোইগুকে- অশুভ বলে আখ্যায়িত করে তাকে তার পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন।

বিবিসির সংবাদদাতা কেলিন ডেভলিন বলছেন, শোইগুর এ সফর যখনই হয়ে থাকুক, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তিনি স্বপদে বহাল আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।