শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এক আকস্মিক হামলার মাধ্যমে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর আলেপ্পোর প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহী যোদ্ধারা। নিয়ন্ত্রণে নেয় আলেপ্পো।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা রোববার (১ ডিসেম্বর) এ খবর জানিয়েছে।
সানা জানায়, বিদ্রোহীদের আসার খবরে উত্তরাঞ্চলীয় হামা প্রদেশে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি বাহিনীকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সেখানে বাহিনীকে ভারী সরঞ্জাম এবং রকেট লঞ্চার সরবরাহ করা হচ্ছে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ২০২০ সাল থেকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এনেছিল আসাদ সরকার। বিদ্রোহীদের আলেপ্পো দখলের পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আবদুল রহমান বলেন, আলেপ্পো শহরের অর্ধেকই এখন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও এর মিত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
রোববার সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন অবিলম্বে একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য সংঘাতের সমস্ত অংশীদারদের কাছে আবেদন করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলে।
সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে আলেপ্পোর শহরতলিতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
সিরিয়ায় রাশিয়ান সেন্টার ফর দ্য রিকনসিলিয়েশন অব দ্য এনিমি পার্টিস বলেছে, আলেপ্পো এবং ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীদের আস্তানা, কমান্ড পোস্ট, অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। গত বুধবার থেকে শুরু করা রাশিয়ার এই হামলায় প্রায় ৩০০ বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ায় ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সরকার দমন-পীড়ন চালালে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এর পর থেকে এই লড়াইয়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
এসএএইচ