আমেরিকার কাছে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ ফেরৎ চাইলেন একজন ফরাসি রাজনীতিক। তার মতে আজকের যুক্তরাষ্ট্র আর এই ঐতিহাসিক উপহারের উপযুক্ত নয়।
প্রায় ১৪০ বছর আগে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে এই মূর্তিটি পাঠানো হয়েছিল।
রাফায়েল গ্লুকসমান, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য এবং ফ্রান্সের একটি ছোট বামপন্থী দলের নেতা। যদিও তিনি ফ্রান্সের পুরো জাতির প্রতিনিধিত্ব করেন না, তবে তার কথায় ধরা পড়েছে ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ক্ষোভ।
তার দাবি, কিছু আমেরিকান এখন স্বৈরশাসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরের এবং বাইরের নীতির বড় পরিবর্তনে ইউরোপের অনেকের মতো গ্লুকসমানও হতাশ।
রবিবার দলের সমর্থকদের সামনে গ্লুকসমান বলেন, স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত দাও। এটা আমাদের দেওয়া উপহার। তোমরা এখন তাকে অবহেলা করছ। সে আমাদের সঙ্গেই ভালো থাকবে।
তাকে শুনে সমর্থকরা হাততালি দিয়ে এবং শিস বাজিয়ে উল্লাস করেন।
হোয়াইট হাউস অবশ্য পরদিন মন্তব্য করে, ফ্রান্সের উচিত বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা।
সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সোজাসাপ্টা ভাষায় বলেন, ওই নাম-না-জানা ফরাসি রাজনীতিকের উচিত মনে রাখা—আজ তাদের দেশের মানুষ যদি জার্মান ভাষায় কথা না বলে ফরাসি ভাষায় কথা বলে, তার একমাত্র কারণ আমেরিকা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
তবে গ্লুকসমান পাল্টা জবাবে বলেন, আমরা আমেরিকার ত্যাগের প্রতি চিরকাল কৃতজ্ঞ। কিন্তু যদি আজ তোমাদের সরকার আর মুক্ত বিশ্বের দায়িত্ব নিতে না চায়, তবে ইউরোপ সেটা নিজের কাঁধে নেবে।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি লেখেন, চিন্তা করবেন না, কেউ এসে স্ট্যাচু অব লিবার্টি নিয়ে যাবে না। মূর্তিটি তোমাদের। তবে সে যা প্রতিনিধিত্ব করে, সেটি সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
এমএম