চলমান উত্তেজনার মাঝে চারদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ‘কার্যত’ ইতি টানলো ভারত ও পাকিস্তান। মার্কিন মধ্যস্থতায় দুই দেশই সম্মত হয়েছে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স) ভারতের সমপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আলোচনায় উভয়পক্ষই সিদ্ধান্ত নেয়, বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও জলপথে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইসলামাবাদ সবসময়ই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষপাতী। তবে সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা নিয়ে কোনো আপস করবে না।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে রাতভর আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসলেও প্রশ্ন রয়ে যায়—এই সংঘাতে কে কতটা ক্ষতির মুখে পড়লো?
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, চলমান সংঘাতে পাকিস্তান ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। শনিবারের এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর তিন শীর্ষ কর্মকর্তা—ব্যোমিকা সিং, সোফিয়া কোরেশি ও রঘু নায়ার জানান, পাকিস্তানের একাধিক বিমানঘাঁটি, সামরিক স্থাপনা এবং যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানও দাবি করছে—সংঘাতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় বড় ধরনের আঘাত হেনেছে তারা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, আদমপুরে ভারতীয় এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানা হয়েছে। সুরাট ও সিরসা বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া নাগ্রোটায় ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম, ডেরাঙ্গিয়ারি ও চণ্ডীগড়ে আর্টিলারি সাপোর্ট ইউনিট এবং গোলাবারুদ ডিপোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
তবে এসব দাবি নাকচ করে দিয়েছে ভারত। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এগুলো সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছাড়া কিছু নয়।
এমএইচডি/এমজে