ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লাক্ষাদ্বীপে হবে প্রথম সি ব্রিজ রানওয়ের সম্প্রসারণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
লাক্ষাদ্বীপে হবে প্রথম সি ব্রিজ রানওয়ের সম্প্রসারণ আগাত্তি বিমানবন্দর, (সংগৃহীত ছবি)

ভারতের সর্ব দক্ষিণের রাজ্য কেরালা। এখানে রয়েছে মনোরম লাক্ষাদ্বীপ (লক্ষদ্বীপ)। যাকে বলা হয় প্রজাপতি মাছের দেশ। এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ আগাত্তি বিমানবন্দর।

সম্প্রতি ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) স্থানটি সম্প্রসারণে অনুমতি দিয়েছে। যেটি পুরোপুরি কার্যকর হলে ভারতবাসী সুবিধা পাবে তাদের প্রথম সমুদ্র রানওয়ের (সি ব্রিজ রানওয়ে)।

যদিও এখনও সেখানে কার্যক্রম চলমান, ওঠা নামা করে ছোট প্লেন।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আগাত্তিতে যে স্থল অংশটুকু রয়েছে তা কৃত্রিম উপায়ে সম্প্রসারিত হবে। ব্যবহৃত হবে কংক্রিট-আরসিসি প্লাটফর্ম। অগভীর সমুদ্র পর্যন্ত যা যাবে, এতে বাড়বে রানওয়ের আয়তন। প্রয়োজনে পাশের আরেকটি দ্বীপকেও এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হতে পারে।

এএআই-এর সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি খুবই চ্যালেঞ্জের। পরিবেশগত দিক নিয়েও আমাদের উদ্বেগের বিষয় রয়েছে। লাক্ষাদ্বীপকে বলা হয় দ্য প্যারাডাইস ইন ইন্ডিয়া, এটির সৌন্দর্য বজায় রাখাও আমাদের জন্য জরুরি।

প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৫০০ কোটি রুপি। কাজ সম্পন্ন হলে এটিআর-৭২ প্লেন উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। ফলে সুযোগ পাবেন অনেক মানুষ একসঙ্গে ভ্রমণের। বর্তমানে কেবল ছোট প্লেনগুলোই ওঠা-নামা করতে পারে।

ভারতের মূল ভুখণ্ড হতে ২০০ থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লাক্ষা সাগরের মালাবার উপকূলের আগাত্তিকে বলা হয় ভারতের প্রথম সি ব্রিজ রানওয়ে। এমন উদ্যোগ মুম্বাইয়ের দুটি স্থানে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল তবে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি।

লাক্ষাদ্বীপের বৈশিষ্ট্য বহু দ্বীপের সমাহার।  এটি লাক্কা দ্বীপ নামেও পরিচিত। কোচির সমুদ্রতট থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে আরব সাগরের বুকে ছোট ছোট ৩৬টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে যার গঠন। এর ১০টি দ্বীপে রয়েছে জনবসতি। বাকিগুলো জনমানব শূন্য। মোটামুটি প্রতিটি দ্বীপই লেগুন পরিবৃত; লেগুন হলো সমুদ্রের মাঝে অবস্থিত প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত জলাশয়। লাক্ষাদ্বীপে এখন পর্যন্ত মোট চারটি দ্বীপে পর্যটকদের থাকার বন্দোবস্ত করা গেছে। কাদমত, কাভারাত্তি, বাঙ্গারাম ও ঠিন্নাকারা। ধীরে ধীরে অবশ্য সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

আগাত্তি দ্বীপে আগে থেকেই থাকার সুবিধা ছিল। তবে সেটি আপাতত বন্ধ, করা হবে সম্প্রসারণ কাজ। আগাত্তি থেকে থাকার মতো চারটি দ্বীপে যাওয়ার একমাত্র উপায় দ্রুতগতি সম্পন্ন নৌকা। ভারত সরকার সেখানে ছোট প্লেনের ব্যবহারও ঘটাতে পারে। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবেই রানওয়ে বৃদ্ধির কাজ হবে। বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।