ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ক্রিসমাসের আনন্দ এখন দেশে দেশে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
ক্রিসমাসের আনন্দ এখন দেশে দেশে ক্রিসমাস উপলক্ষে ইংল্যান্ডে শপিংমলে সাজসজ্জা, (সংগৃহীত ছবি)

দেশে দেশে এখন বড়দিন বা ক্রিসমাসের আনন্দ। বিশ্বের একেক দেশে ক্রিসমাস একেকভাবে উদযাপিত হয়। তবে একটি জায়গায় কিন্তু দারুণ মিল; সেটি হলো অবাধ আনন্দ-উচ্ছ্বাস।

ক্রিসমাসের বিভিন্ন রকম আয়োজন দেশ ভেদে হয় ব্যতিক্রম। কিন্তু নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো ছাড় নেই কোনো দেশেই।

ইংল্যান্ডে এবার ক্রিসমাস ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাদর। যেকোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর রয়েছে।

যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনের বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষে করা এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটিশদের পোষা প্রতি ১০টির মধ্যে সাতটি কুকুর বড়দিনের উপহার হিসেবে আসে। দিনটিতে একে অন্যকে আরও উপহার দেন চকলেট। ছোটদের মন ভরাতে সান্তা ক্লজ তো রয়েছেনই।

সেখানে তৈরি হয় খাওয়ার মতো ক্রিসমাস ট্রি। ক্রিসমাস ট্রি হিসেবে ব্যবহৃত পাইন, স্পার্স এবং ফার গাছের বেশ কিছু অংশ খাওয়া যায়। পাইনের বাদামও পুষ্টিকর খাবার।  

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকদিন আগে সন্ত্রাসী হামলায় এবার বড়দিনের উৎসবটা একটু বাড়তি সতর্কতার। বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ছাড়ের ছড়াছড়ি ছিল প্রতিবারের মতোই। বিশেষ দিন রাঙাতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কারো কোনো কমতি নেই। এছাড়া সড়কে সড়কে সাজসজ্জা।

মার্কিন শিশুদের বিশ্বাস সান্তা তার ছয়টি রেইন ডিয়ারে টানা গাড়িতে চড়ে বিশাল ঝোলা ভর্তি চকোলেট, ক্যান্ডি আর উপহার নিয়ে এসে তাদের স্টকিং আর ক্রিসমাস ট্রির নিচে রেখে যাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেভাগেই দিনটি উপলক্ষে টুইট করেছেন। তিনি সবাইকে মেরি ক্রিসমাস বলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ইউরোপের দেশ জার্মানিতে বড়দিনের উৎসব উদযাপনে আছে নিজস্ব ইতিহাস। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বড়দিনের উৎসবটা যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন ২৫ নয় বরং আগের দিনই অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়। কয়েকশ বছর ধরে উৎসবটাকে এগিয়ে আনা হয়েছে। মিডনাইট মেস থেকে শুরু করে ক্রিসমাস ট্রির নিচে রাখা উপহার বিতরণ, এসব কিছুই চলে ২৪ তারিখ অর্থাৎ পবিত্র রাতে।

জার্মানদের জন্য উল্লেখযোগ্য হলো, এটি তাদের পারিবারিক উৎসব। এইদিন পরিবার পরিজনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য সবাই অপেক্ষা করেন। বিশেষ করে মা-বাবারা সন্তানদের কাছে পাওয়ার আশায় দিন গুনতে থাকেন।

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ক্রিসমাসের দিনটি শুরু হয় ক্রিসমাস ট্রির নিচে রাখা উপহারের প্যাকেট খোলার মধ্য দিয়ে। এরপর ক্রিসমাসের দুপুরে খাবার পরিবারের সবাই একসঙ্গেই খেয়ে থাকেন। টার্কি আর মুরগির মাংস দিয়েই চলে খাওয়ার পর্ব। এরপর শুরু হয় চা পানের আসর। আর রাতে পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে চলে বার-বি-কিউ পার্টি।

ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবার বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে দিনটি উদযাপন করা হবে।  

ভারতে রয়েছে বিশেষ শোভাযাত্রার আয়োজন।

এদিকে গুগলে ক্রিসমাস লিখলে সার্চ করলে এখন থেকে নতুন ছবিযুক্ত ব্যানার চলে আসছে। রাত পোহালে ক্রিসমাসের জন্য ডুডল দেবে গুগল।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।