ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

পবিত্র শবে বরাত কবে, জানা যাবে আজ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
পবিত্র শবে বরাত কবে, জানা যাবে আজ

ঢাকা: আরবি ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শবে বরাতের তারিখ জানা যাবে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি)। পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার জন্য এদিন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭।

ফ্যাক্স নম্বর : ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, রোববার শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেলে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেক্ষেত্রে শবেবরাত পালিত হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে। চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, শাবান মাস শুরু হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। এক্ষেত্রে ২৬ মার্চ দিনগত রাতে শবেবরাত পালিত হবে।

সাধারণ শবেবরাতের ১৫ দিন পর পবিত্র রমযান মাস শুরু হয়। সেটি নির্ধারণ হয় রমজান মাসের চাঁদ দেখার ওপর। যদি শাবান মাস ২৯ তারিখ হয় তবে রমজান শুরু হবে ১১ মার্চ থেকে আর ৩০ দিন পূর্ণ হলে রমজান শুরু হবে ১২ মার্চ থেকে।

হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধশাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।

শবেবরাত এক মহিমান্বিত রাত। এই রাতের তেরটি নাম রয়েছে। নামের আধিক্য এর মাহাত্ম্য প্রমাণ করে। বারাআত থেকে বরাত। বারাআত অর্থ মুক্তি। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে ইমানদার বান্দাদেরকে গুনাহ থেকে মুক্ত করেন। এ ছাড়া এ রাতকে দুআর রাত, ভাগ্য রজনী, বরকতময় রাত, নিসুফু শাবান, শাবান মাসের মধ্য রজনী, শাফাআতের রাত, ক্ষমার রাত, জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত, জীবন রাত্রি, তকদিরের রাত ও অন্য আরও অনেক নামে ভূষিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।