সিলেট: সিলেটে ২ হাজার ৮৪৬টি ঈদগাহ ও মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে।
ঈদ জামাত ও পরবর্তী ফাঁকা নগরী এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে এসএমপি ও জেলা পুলিশ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদকেন্দ্রিক চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে সর্বত্র। এর মধ্যে পোশাকে-সাদা পোশাকে, ট্রাফিক ও টহল পুলিশ চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাবে। সড়কের হাইওয়ে রোডে ছিনতাই রোধে সতর্ক থাকবে হাইওয়ে পুলিশ এবং পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা দেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার শাহী ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহ ময়দানে স্থাপন করা হবে স্থায়ী-অস্থায়ী সিসি ক্যামেরা। ঈদের দিন শাহী ঈদগাহ এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা, মেটাল ডোর থাকবে। দুই প্রবেশপথ ছাড়াও আশপাশ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
তিনি বলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩৯২টি ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩০৫টি মসজিদ ও ৮৭টি ঈদগাহ ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চার স্তরের নিরাপত্তায় পোশাকে-সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন, টহল টিম, ট্রাফিকিং ব্যবস্থা ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে ফাঁকা নগরীতে বাসা-বাড়িতে চুরি-ছিনতাই রোধে টহল জোরদার থাকবে।
এ ছাড়া সিলেট জেলার ১১ উপজেলায় দুই হাজার ৪৫৪টি মসজিদ ও ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মসজিদ ২ হাজার ৪৩টি ও ৪১১টি ঈদগাহে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সম্রাট তালুকদার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঈদের দিন প্রতিটি উপজেলায় পোশাকে-সাদা পোশাকে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের মধ্যে হাইওয়ে, পুলিশ টুরিস্ট পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করে যাবে।
তাছাড়া ঈদের ছুটিতে পর্যটন এলাকায় টুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মোতাবেক পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় নগরের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহে ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল মিয়া কামরান। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার ঈদগাহে একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে লাখেরও বেশি মুসল্লির উপস্থিতি আশা করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জামাতে ইমামতি করবেন সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান। এর আগে নসিহত পেশ করবেন একই মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা কামাল উদ্দিন। এবার সিলেট শাহী ঈদগাহে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করবেন প্রখ্যাত বুজুর্গ শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি রশীদুর রহমান ফারুক (বরুণী)। তবে তিনি নসিহত পেশ করবেন কিনা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ইতোমধ্যে ঈদগাহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. রেজাউল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৫
এনইউ/আরবি