ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিট

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গেজেট স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

আবেদনে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশ করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সালের ২৭নং আইন) এর ধারা ৭ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৯১ এর বিধি ১২ এর উপ-বিধি (৬) অনুসারে নির্বাচনী কর্তা ও নির্বাচন কমিশনার এর ঘোষণা মোতাবেক মো. সাহাবুদ্দিন, পিতা- মরহুম শরফুদ্দিন আনছারী, বাসা/হোল্ডিং-৮৮/১, গ্রাম/রাস্তা. শিবরামপুর, পাবনা পৌরসভা, ডাকঘর- পাবনা, পোস্ট কোড-৬৬০০, উপজেলা-পাবনা সদর, জেলা-পাবনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ পূর্তি হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। শপথ নিয়ে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে যেতে এ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে নবনির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিনকে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ২৫ জানুয়ারি এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ‘নির্বাচনী কর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তবে বাছাইয়ে একক প্রার্থী থাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচনী কর্তা ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন।

সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরের পাঁচ বছর তার পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কার্যভার গ্রহণ করেন। সে মোতাবেক তার দায়িত্বের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল।

রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে পদটি শূন্য হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। সংবিধানের এসব বিধানের আলোকে পরবর্তী (২২তম) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয় গত ২৪ জানুয়ারি। আর ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল।

২০১৮ সালে ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণের সময় রাখা হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সে সময়ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীনের সময় ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

এরপর মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ওই বছর ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তাঁর আর এই পদে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।