ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা

বদিউল আলমের শ্যালক ইশতিয়াকের জামিন  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
বদিউল আলমের শ্যালক ইশতিয়াকের জামিন   বার্নিকাট

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার বাদী সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী এই আদেশ দেন।

 

বুধবার অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।  

গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।  
যেখানে নতুন করে ইশতিয়াক মাহমুদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মুজাহিদ আজমি তান্না মারা যাওয়ায় চার্জশিটে আসামির সংখ্যা নয় জনই থাকে।

বুধবার সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামি ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অপরদিকে মৃত মুজাহিদ আজমিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।  

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে সভাপতি) নাইমুল হাসান, একই থানার থানার তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর আমজাদ হোসেন, ফিরোজ মাহমুদ, মো. সাজু ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম রাজু, শহিদুল আলম খান কাজল, সিয়াম, অলি আহমেদ ওরফে জনির নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা নাম-ঠিকানা জানতে না পারায় আরও ১৫-২০ আসামির নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। এতে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।

সিএমএম আদালতে মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই এশারত আলী এ তথ্য জানান।  

এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. আবদুর রউফ এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই অভিযোগপত্রে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৮ সালে ৪ আগস্ট রাতে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের বাসায় নৈশভোজের অংশ নিতে যান। যেখানে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমও অংশ নেন। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। নৈশভোজ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা মার্সা বার্নিকাটের গাড়ি ধাওয়া করলে বার্নিকাট দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সেই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে নয়জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর পর রাষ্ট্রপক্ষে পাঁচজন সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষীতে ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির জড়িত থাকার কথা উঠে আসে। তাই মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করেন ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর ১ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই রাতে ৩০-৪০ জন দুর্বৃত্ত বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা করে। তারা বার্নিকাটের ড্রাইভার ও বদিউলের ছেলের ওপর আক্রমণ করে। বার্নিকাটের গাড়িতে পেছনে ধাওয়া করে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পিস্তল ও লাঠিসোটা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে আগুন দেওয়ার উসকানি দেয় দুর্বৃত্তরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৩
কেআই/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।