ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মোদিবিরোধী আন্দোলন

গণ অধিকারের রাশেদ খানসহ ১৮ জনের নামে চার্জশিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
গণ অধিকারের রাশেদ খানসহ ১৮ জনের নামে চার্জশিট

ঢাকা: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশকে কেন্দ্র করে শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ ১৮ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  

গত ৩০ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনা জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মো. শাহজাহান মিয়া এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।

 

শনিবার (১৮ নভেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) এবং দণ্ডবিধির ১৪৩/১৮৬/২২৪/২২৫/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৪ ধারায় পৃথক  দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। আগামী ২২ নভেম্বর এই চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হবে৷ 

মামলায় চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজল, ঢাকা কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল করিম সোহাগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক আল-আমিন, মো. আসাদুজ্জামান, মোমিন আকন্দ, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. শিপন হাওলাদার, রোকেয়া আক্তার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, আরেফিন হোসেন, তাওহিদুল ইসলাম শিপন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের নেতা মশিউর রহমান, আবু বক্কর সিদ্দিক হাসান ও মো. জাকির হোসেন স্বপন।  

আসামিদের মধ্যে মশিউর রহমান গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। রাশেদ খান, আবু বকর সিদ্দিক ও জাকির হোসেন পলাতক। বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।  

রাশেদ খানসহ পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এছাড়া সঠিক নাম ঠিকানা না পাওয়ায় গণঅধিকার পরিষদ অপর অংশের সদস্য সচিব মো. ফারুক হাসান এবং মো. তারেক রহমানকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

২০২১ সালের ২৭ মার্চ ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের এক মানববন্ধনে অংশ নেয় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। সমাবেশের একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওইদিন বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে আসামিরা হেফাজতে ইসলামের হরতাল সমর্থনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক কাজের মাধ্যমে যান চলাচল বন্ধ ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগের জন্য পেট্রল, গ্যাসলাইট, মরিচের গুড়া, বালুসহ জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে একত্র হয়।  

এ সময় বাধা দিলে তারা পেট্রল, গ্যাসলাইট মরিচের গুড়া, বালু,  লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেলসহ পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন এবং হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন।  

এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে। পরদিন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক নাছির উদ্দিন খান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এই মামলা দায়ের করে।  

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
কেআই/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।