ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নাটোরে কলেজছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
নাটোরে কলেজছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন আসামিরা।

নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার টাকা ভিকটিমকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. আতিক হাসান (৩২), একই গ্রামের আশরাফ হোসেন মাস্টারের ছেলে মো. সুমন আলী (৩২) মো. সুলতান (৪২) এবং আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. আবু জাফর (৩৫)।

নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।  


তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে উত্তরনারী বাড়ি এলাকায় প্রাইভেট মাস্টারের বাড়িতে পড়তে যায় ওই কলেজছাত্রী। এসময় সড়কের পাশে আতিক, সুমন, টিপু সুলতান ও আবু জাফর ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে আতিক।

এদিকে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হয় তার পরিবার। পরে অপহৃতের চাচা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নামে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার ১০দিন পরে ২০ আগস্ট নাটোর জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট চত্বর থেকে পুলিশ অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক সুব্রত কুমার মাহাতো একই বছরের ৯ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

পরবর্তী সময় মামলাটি বিচারের জন্য নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে। মামলা দায়েরের ৯ বছর পর আদালত স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও শুনানি শেষে আজ দুপুরে আসামি আতিক হাসানকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর ধারা ৭ এ যাবজ্জীবনসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অর্থাৎ মামলায় দুইটি ধারায় আতিককে ৬০ বছর কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপর তিন আসামি সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফরকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার সমুদয় টাকা অপহৃত ওই ছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

আনিছুর রহমান আরও জানান, বিচার চলাকালে আসামিরা জামিনে মুক্ত থাকলেও গতকাল রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে নেওয়া হয়। রায়ের পর আসামিদের নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী শরিফুল হক রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪/আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।