ঢাকা: বার বার রিট করে ইটভাটা পরিচালনা করার ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪ ইট ভাটা মালিককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে মালিকদের রিটের জারি করা রুল খারিজ করে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতের রায়ের বিষয়টি জানিয়েছেন মানবাধিকার এবং পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশর (এইচআরপিবি) সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এক বার্তায় তিনি আরও জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বংস করে লাইসেন্স ছাড়া অনেক ইটভাটা চলমান থাকার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে, এইচআরপিবি জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ কার্যকর করতে গেলে ইটভাটা মালিকরা অন্য একটি রিট পিটিশন দায়ের করে এবং স্থিতি অবস্থার আদেশ পান। তাদের ওই রিট পিটিশনে এইচআরপিবি পক্ষভুক্ত হন এবং শুনানি শেষে আদালত ওই রুল খারিজ করে দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকরা আপিল দায়ের করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ৬ জুন রায় দেন। পাশাপাশি তাদের করা আবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। এর কয়েক মাস পরে ইটভাটা মালিকরা আরও একটি রিট পিটিশন দায়ের করে স্থিতি (ইটভাটার কার্যক্রম চালানো) অবস্থা পান। পরে ওই আদেশ ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়।
এইচআরপিবি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতে জানান, কতিপয় ইটভাটা মালিক একই বিষয়ের ওপরে বার বার রিট পিটিশন দায়ের করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করছেন। ইতোপূর্বে আদালতের আদেশ জালিয়াতি করেছেন এবং এই আদালত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
যে মামলায় স্থিতি অবস্থা ছয় মাস বাড়োনো হয়েছে, সেই মামলার ওপর বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে আদালত ছয় মাসের বর্ধিত স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রত্যাহার করেন এবং রুল খারিজ করেন।
এছাড়া আদালত রিট পিটিশনারদের সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে একই বিষয় নিয়ে বারবার অবৈধ ইটভাটা পরিচালনায় জড়িত থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইটভাটার মালিকদের প্রত্যেককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করার আদেশ দেন এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ওই টাকা হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৫
ইএস/এসআইএস