খুলনা: বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অন্তর্বর্তী সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে। বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় তৈরির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রস্তুতের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
শনিবার (১২ মার্চ) খুলনার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘জুডিশিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আঞ্চলিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আলী।
সেমিনারে প্রধান বিচারপতি ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগের ভূমিকা এবং তার ঘোষিত রোডম্যাপের অগ্রগতি তুলে ধরেন। রোডম্যাপ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের সক্রিয়তার কারণেই দ্রুত উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত সেমিনারগুলো থেকে পাওয়া মতামতের আলোকে সুপ্রিম কোর্ট শিগগিরই বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একটি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিচার বিভাগ নতুন যাত্রায় পূর্ণতা পাবে এবং জনগণের হারানো আস্থা ফিরে আসবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সরকারের সহযোগিতায় দেশের আদালতসমূহে মামলাজট নিরসনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারকের পদ সৃষ্টি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে এবং কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট চালুর লক্ষ্যে দুটি বিশেষ কমিটি কাজ করছে।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস।
উপস্থিত ছিলেন খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, ট্রাইব্যুনালের বিচারক, সরকারি কৌশুলি এবং পাবলিক প্রসিকিউটরগণ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এমআরএম/এমজে