মাগুরা: মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পুলিশ।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিভুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা সদর উপজেলায়। শিশুটি বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুরের কাছে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় আট বছরের শিশুটির। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হিটু শেখসহ চারজনের নামে মামলাটি করেন। পরে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।
ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সে মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী সজিব শেখ (১৯), সজিব শেখের ছোট ভাই রাতুল শেখ (১৭) ও সজিবের মা জাহেদা বেগম (৪০), বাবা হিটু শেখকে (৪৭) আসামি করা হয়। তারা চারজনই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এদিকে সাতদিনের মধ্যে বিচার শুরুর কথা থাকলেও শিশুটির মৃত্যুর এক মাসেও বিচার শুরু হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
এসআই