ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত ফয়সাল বর্ণবাদের শিকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
‘যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত ফয়সাল বর্ণবাদের শিকার’

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া বাংলাদেশি ছাত্র ফয়সাল বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার বলে মন্তব্য করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তারা বলেন, ফয়সাল কাউকে হত্যা করতে গিয়েছিল এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি।

ফয়সালকে আত্মসমর্পন করানোর সুযোগ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ সেটা করেনি। বাংলাদেশি এ ছাত্রকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।  

মানববন্ধনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া বলেন, এর আগে আমরা দেখেছি জর্জ ফ্লয়েডকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার সর্বজনীন। এর কোনো রং থাকতে পারে না। মানবাধিকারে আফ্রিকা, ইউরোপ বা বাংলাদেশ হতে পারে না। পৃথিবীর যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উঠে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে হস্তক্ষেপ করে। অথচ মার্কিন পুলিশের হাতে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তার সর্বশেষ শিকার আমাদের ফয়সাল। আমরা অনুরোধ করছি মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসায় করবেন না, রাজনীতি করবেন না।  

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্ব মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উঠলে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঝাঁপিয়ে পড়ে।  কিন্তু নিজ দেশের বেলায় কথা বলেন না, দেখেও না দেখার ভান করেন। আমরা বিশ্বাস করি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সিলেক্টিভ হতে পারে না। আজকে এই সমাবেশ থেকে আমরা দাবি জানাচ্ছি, ফয়সাল হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হোক এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। যেখানে যেখানে জাতিসংঘের সদর দপ্তর রয়েছে। আর সেখানে মাত্র ২০ বছর বয়সি বাংলাদেশি ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমেরিকান পুলিশ যখন তাকে গুলি করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তার হাতে একটি চাকু ছিল। একজনের হাতে সামান্য একটা চাকু থাকবে আর তাকে গুলি করে হত্যা করবে! ওয়াশিংটন পোস্ট গত ৫ জানুয়ারি খবর দিয়েছে প্রতি বছর অন্তত এক হাজার মানুষ আমেরিকান পুলিশের হাতে নিহত হয়। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশের কারও বিচার হয়না।  

সকল দূতাবাসকে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানানো উচিত উল্লেখ করে অজয় দাশ গুপ্ত বলেন,  আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের যে দূতাবাস রয়েছে। আমাদের দেশে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে উন্নত দেশের দূতাবাসগুলো যেভাবে হাজির হয়। আমাদের দূতাবাসের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ আপনারাও ওইসব দেশের দূতাবাসে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক এমন কোন ঘটনা হোক তা আমরা চাই না। যদি হয় এর বিচার দাবি করি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
ইএসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।