ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রূপনগরে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
রূপনগরে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২

ঢাকা: রাজধানীর রূপনগরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী মায়াকে (৩৭) হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

রোববার (১৫ জানুয়ারি) ভিকটিমের ভাই মো. আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন রূপনগর থানায়।

রোববার রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিক গ্রেফতার করে পুলিশ।  

আসামিরা হলেন শিপন (৪৫) ও মো. আসাদুল ইসলাম (৩৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছুরি ও রক্তমাখা জ্যাকেট জব্দ করা হয়।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ডিসি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (মিরপুর বিভাগ) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।  

তিনি বলেন, আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সোমবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এক আসামির রিমান্ড ও আরেক আসামির জবানবন্দি নেওয়া হবে।  

ঘটনার মোটিভ কী ছিল প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোটিভের বিভিন্ন দিক আমরা খতিয়ে দেখছি। আসামিদের দুজনের একজন ভিকটিমের বাড়িতে থাকতেন। অন্য আসামি পাশের আরেকটি বাড়ি থাকতেন। আসামিদের এই বাসায় আসা-যাওয়া ছিল।  
শিপন ভিকটিমের ভাড়াটিয়া ছিলেন। আসামি শিপনের ভিকটিমের বাসায় আসা যাওয়া ছিল। ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যায়ও এসেছিলেন মায়ার বাসায়। ভিকটিমকে তারা ‘মামানি’ বলে ডাকতেন।  

বিভিন্ন মোটিভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতির উদ্দেশ্যে তারা বাসায় গিয়েছিলেন কিনা বা পূর্ব শত্রুতা ছিল কিনা এসব বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। তিন তালার ভাড়াটিয়া শিপন টাইলস মিস্ত্রি ঠিক করে দিয়েছিলেন। ভিকটিম মায়া তাদের মিস্ত্রি না নিয়ে অন্য মিস্ত্রি ঠিক করেছিলেন। এসব বিষয়েও আমরা দেখছি। আসামিরা কিছু কথা বলেছেন তা সত্য কিনা আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তারা খুনের কথা স্বীকার করেছেন। খুনে ব্যবহার করা ছুড়ি ও রক্তমাখা জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিকটিম যেহেতু নারী, একজন নারী পুলিশ অফিসার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সুরতহাল করেছেন। এই বিষয়ে কিছু যদি থাকে মেডিকেল রিপোর্টে আসবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে জসীমউদ্দীন বলেন, আসামি ধরা পড়েছে, এখনো আমরা এ বিষয়ে বলতে চাচ্ছি না। আসামিদের তিনটি মোটিভ হতে পারে। ধর্ষণ, ভিক্টিমের ভাড়াটিয়া জানতেন তার স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠান, এটা হতে পারে। এছাড়াও আরেকটা মোটিভ হতে পারে টাইলস মিস্ত্রি ঠিক করে দেওয়ার পরও অন্য মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করান ভিকটিম মায়া। অন্য মিস্ত্রিরা কেমন কাজ করেছে দেখার কথা  বলে আসামিরা মায়ার বাসায় প্রবেশ করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এই হত্যাকাণ্ড আসামি দুজনই করেছেন।  


উপ-পুলিশ কমিশনার (মিরপুর বিভাগ) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, ভিকটিমের বাসার চালের বস্তায় টাকা ছিল। টাকা আসামিরা খুঁজে পাননি। চারিত্রিক কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে তারা বাসায় আসতেন কিনা তাও আমরা বিবেচনায় দেখছি।

এর আগে, রাজধানীর মিরপুরে মায়া নামে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ পায় পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ৩ টায় রূপনগর ‘ট’ ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ পাওয়া যায়।  


বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
এমএমআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।