ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আ.লীগ নেতাকে গ্রেফতার দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
আ.লীগ নেতাকে গ্রেফতার দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে গ্রেফতারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলা পরিষদ গেটে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৭ নভেম্বর হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরুর সঙ্গে প্রকল্প ভাগাভাগি নিয়ে বিতর্ক হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ তাদের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথম দিকে থানা পুলিশ কোনো পক্ষের অভিযোগ আমলে না নিলেও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। এ মামলায় দুই ভাইস চেয়ারম্যানসহ বাকি অভিযুক্তরা জামিনে থাকলেও প্রধান অভিযুক্ত লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জামিন নেন নি। জামিন না নিয়েও ক্ষমতার প্রভাবে তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে পুলিশের সঙ্গে অংশ নিলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা লিয়াকত হোসেনকে গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা পরিষদ গেটে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে তারা একটি ঝাড়ু মিছিল বের করেন।

অপর দিকে আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকরাও পাল্টা মিছিল বের করলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মূহুর্তে আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপজেলা শহরে। খবর পেয়ে অনেক চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। তবে সন্ধ্যা অবধি সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সত্য কিনা সেটা পুলিশ যাচাই করছে। যাচাই করে যদি সম্পৃক্ততা পেয়ে চার্জশিট দেয় তাহলে আমি জামিন নেব।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, বাচ্চু, মিরু, জেসমিন ও তার স্বামী রাজন এবং তার লোকজন অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় অনেকে জামিনে থাকলেও মামলার প্রধান অভিযুক্ত লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জামিন ছাড়াই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

কিন্তু ওসিকে অভিযুক্ত লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে গ্রেফতার বা তিনি জামিনে আছেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলেই তিনি ফোন কেটে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।