ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মা সেতুতে বাইক পারাপারে লাগছে ৪-৫শ টাকা!

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
পদ্মা সেতুতে বাইক পারাপারে লাগছে ৪-৫শ টাকা!

মাদারীপুর: মোটরসাইকেল পদ্মা সেতুতে চলাচলের অনুমতি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন বাইকাররা। চাকরির জন্য যাদের রাজধানীতে মোটরসাইকেল চালাতে হয় এমন হাজারো বাইকাররা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেতু পার হতে।

আর ভিন্ন উপায়ে বাইক সেতু পার করতে গুণতে হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা।

দক্ষিণাঞ্চল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা যাওয়া-আসায় সেতুর আগে নিতে হয় পিকআপভ্যানের সাহায্য। এভাবে শুধু সেতু পার হতেই গুণতে হয় ৪০০-৫০০ টাকা! এতে করে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে ঢাকা যাওয়া-আসার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল বাইকারদের।

সরেজমিনে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের শিবচরের সীমানা এলাকা, নাওডোবা বাজার স্ট্যান্ড থেকে পিকআপভ্যানে মোটরসাইকেল তুলে সেতু পার হতে দেখা গেছে বাইকারদের। সেখান থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকা যাচ্ছেন তারা।

বাইকাররা জানান, ফেরিতে করে পার হতে মাত্র ১০০ টাকা লাগতো। সেতু চালুর আগে কত স্বপ্ন ছিল। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। আমরা সত্যিকার অর্থেই চরম বিপাকে পড়েছি। এখন ট্রাক/পিকআপভ্যানে বাইক তুলে ৪০০-৫০০ টাকা খরচ করে শুধু সেতু পার হচ্ছি, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে?

দেখা গেছে, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের কয়েকটি স্থানে গড়ে উঠেছে মোটরসাইকেল পার করার স্ট্যান্ড! সিরিয়াল অনুযায়ী পিকআপভ্যানে করে মোটরসাইকেল ও চালকদের পার করা হচ্ছে। একেকটি পিকআপভ্যানে ৮-১০টি মোটরসাইকেল একত্রে ওঠানো যায়। আর এর জন্য পিকআপভ্যানের পেছনের দিক সম্পূর্ণ খোলা রাখতে হচ্ছে। যা গাড়ি চলাকালীন ঝুঁকিপুর্ণও বটে।

পিকআপভ্যানের চালকরা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য মোটরসাইকেল আসে। তাদের পার করতেই এ ব্যবস্থা। নাওডোবা সংযোগ সড়ক থেকে মোটরসাইকেল উঠিয়ে মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত গিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। আবার ওখান থেকে মোটরসাইকেল এনে এপারে নামানো হয়।

তানজিল আহমেদ নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, চাকরির স্বার্থে ঢাকায় মোটরসাইকেল চালাতে হয়। অথচ বাড়ি আসতে হলে সেতু পার হতে পারি না। তাই মাঝে মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে হলে পিকআপভ্যানে উঠিয়ে সেতু পার হই। আসলে নিয়ম করে দিয়ে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো অসংখ্য মানুষ কষ্টে আছে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে সেতু পার হতে পারছে না। অথচ দৈনন্দিন কাজে মোটরসাইকেল দরকার হচ্ছে আমাদের। অথচ মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অতিরিক্ত অনেক টাকা খরচ করে সেতু পার হতে হচ্ছে।

পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম দিকে কিছুদিন মোটরসাইকেল চলেছে। নানা অসঙ্গিত থাকায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেতুতে মোটরসাইকেলের অনুমতি কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে না। অনেকে ট্রাক-পিকআপভ্যানে উঠিয়ে পার হন। এখানে আসলে কিছু করার নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
এফআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।